ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের মানুষ। ক্ষোভের কারণে রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়টিকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। পাশাপাশি এই কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে মহানগীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় সহকারী হাইকমিশন ভবন এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়ে আগে শুধু প্রধান ফটকে আসা ব্যক্তির ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ দেখত পুলিশ। এর পাশাপাশি তল্লাশিও করা হতো। তবে এখন এগুলোর পাশাপাশি হাইকমিশনারের কার্যালয় ঘিরেই বাড়তি আরও দুই স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সহকারী হাইকমিশন ভবন যাওয়ার রাস্তার প্রবেশ মুখেই পুলিশের একটি পিকআপ রাখা। সেখানে তিনজন পুলিশ সদস্য সহকারী হাইকমিশন ভবনের দিকে যাতায়াতকারী ও পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। মোটরসাইকেল আরোহীকেও থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেউ সহকারী হাইকমিশন ভবনে ঢুকতে হলে তাকে আরেক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সহকারী হাইকমিশনের ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ থাকলেই কেবল ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের বাড়িতেও কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গেল কয়েক দিন ধরেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর পুলিশ আরও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, মহানগরীর বর্ণালী মোড়ে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ভিসা প্রত্যাশীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পাওয়ার কারণে এখানে ভিসার আবেদন আসা একেবারেই কমে গেছে। ভিসা আবেদন কেন্দ্রে অবশ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতোই দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবন এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্র ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে আশপাশের এলাকায়। এসব স্থাপনায় হামলার কোনো শঙ্কা নেই। তারপরও আমরা সতর্ক আছি।