সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
লড়াই শুধু এবার রাজনীতির মাঠে-ময়দানে নয়, লড়াই এবার আইনিও! এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে তৃণমূল। এসআইআর আর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হয়রানি নিয়ে তৃণমূলের লিগ্যাল সেলকে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ অভিষেকের। ১১ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সব জেলায় সাংগঠনিক সভা করার নির্দেশ লিগ্যাল সেলকে। অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, একদিকে এসআইআর নিয়ে আইনি লড়াই করতে হবে। অন্যদিকে ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থার হয়রানি আটকাতে দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যে একের পরে এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। ফলে জনমানসে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি আইনি সহায়তা দিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ লিগাল সেল খুলছে তৃণমূল। নভেম্বরে দশদিন রাজ্যজুড়ে জনসভা করবে তৃণমূলের লিগাল সেল।
প্রসঙ্গত, এসআইআর নিয়ে আগেই দলীয় কর্মী-নেতা-বিধায়ক-সাংসদদের ক্যাম্প করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। একইসঙ্গে নির্দেশ দিয়েছে ওয়াররুম খুলতেও। ৬২০০ ক্যাম্প, ২৯৪ ওয়াররুম, অভিষেকের এসআইআর-স্ট্র্যাটেজি! বিএলও-দের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি যেতে বলেছেন বিএলএ 2-দের। অভিষেকের কথায়, ‘প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ যাচ্ছে। বিএলএ 2-রা বিএলও-দের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি যাবে। কমিশন ঠিক কাজ করছে কিনা তা দেখতে হবে। কারও নাম যেন বাদ না যায়। ১০০% ফর্ম ফিলআপ করে কমিশনে জমা দিতে হবে। বিএলও-র ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতে হবে বিএলএ 2-কে।’ তিনি বলেন, “আগামী ৬ মাস আমাদের কাছে অ্যাসিড টেস্ট।’ এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের বৈঠকে অভিষেক নির্দেশ দেন, ‘ওয়েবসাইট ও হার্ড কপি মেলাবেন। সাংসদ ও বিধায়করা পুরোদস্তুর সাহায্য করবেন। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানরা অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন। প্রতি অঞ্চলে একমাস ক্যাম্প করবেন। ক্যাম্পে ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও ওয়াই ফাই থাকবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা ক্যাম্প বসবে। ৬২০০ ক্যাম্প রাজ্য জুড়ে হবে। ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড সভাপতি সাহায্য করবেন।’
একইসঙ্গে সাংসদ ও বিধায়কদের ওয়াররুম বানানোর দায়িত্ব দিয়ে বলেন, ‘ওয়াররুমে ১৫ জন থাকবে। ১০ জন সরাসরি বিএলএ-2 এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। বাকি ৫ জন ল্যাপটপ নিয়ে বসে সব ডেটা এন্ট্রির কাজ করবে। অসুবিধা হলেই বিধায়ক, সাংসদ হস্তক্ষেপ করবে।’

জানা গিয়েছে, ১১ তারিখ কলকাতা থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। দুপুর ৩ টেয় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মিছিল ও পরে ডোরিনা ক্রসিংয়ে সমাবেশ হবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ ও পূর্ব মেদিনীপুরে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।