কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
বিপদে পড়া মহিলাদের জন্য বিশেষ ‘মহিলা সুরক্ষা নম্বর’ চালু করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। ২৪ ঘন্টা এই ফোন নম্বরের মাধ্যমে সরাসরি পুলিশের সাহায্য পেতে পারবেন বিপদে পড়া মহিলারা।
এরই পাশাপাশি দিঘা সহ জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বিপদে পড়া পর্যটকরা সহ সাধারণ মানুষও এই ফোন নম্বরের মাধ্যমে পুলিশের সাহায্য পাবেন। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌমাদ্বীপ ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলনে জানান “ মহিলা সুরক্ষা নম্বরটি হল ৯৮০০৭৭৫৯৯৯। এই ফোনে কল করার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও সহজেই পুলিশের সহযোগিতা পেয়ে যাবেন বিপদে পড়া মহিলা, পর্যটক বা অন্যরা”।
পুলিশ সুপার জানান, “মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর জেলা প্রশাসন। সেই কারনেই জেলা জুড়ে পুলিশের স্পেশাল রেসপন্স টিমকে আরও বেশী করে সচল করা হয়েছে। দিনে অথবা রাত্রে যে কোনও সময় কেউ বিপদে পড়লে এই নম্বরে ফোন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজের মাধ্যমেও পুলিশের সাহায্য পেতে পারেন”।
তিনি জানান, “হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে আরও কিছু সুবিধে যুক্ত করা হয়েছে। যেখানে ম্যাসেজ করলেই জেলার পুলিশ আধিকারীকদের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের নম্বর পেয়ে যাবেন। এরপর আপনার প্রয়োজন মতো জায়গায় ফোন করে সহযোগিতা পাবেন”।
এরই পাশাপাশি জেলা জুড়ে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুলিশের তরফে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, “জেলার যে সমস্ত জায়গায় ব্ল্যাক স্পট রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে যেখানে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি বাড়িতে পারে সেই জায়গা চিহ্নিত করে উপযুক্ত বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে”। তিনি জানান, “মহিলাদের সুরক্ষার জন্য এর আগে কেবল জেলা স্তরে মহিলা বাহিনীর উইনার্স টিম ছিল। দিঘা ও হলদিয়াতেই তাঁরা কাজ করছিল। এবার মহকুমা ভিত্তিক এলাকাতেও উইনার্স টিম কাজ করবে”।
সাম্প্রতিক আরজিকরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জেলার মেডিক্যাল কলেজ সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতেও বিশেষ ভাবে নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তিনি জানান, “পর্যটন কেন্দ্র বিশেষ করে দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুর প্রভৃতি এলাকাগুলিতে পুলিশ কিয়স্ক পুরোদস্তুর সচল করা হয়েছে। মহিলা সুরক্ষা নম্বরটি আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে লাইফ জ্যাকেট মজুদ রাখা হচ্ছে। বিপজ্জনক জায়গায়গুলিতে সাইন বোর্ড দেওয়ারও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে” বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগে দিঘা এবং হলদিয়াতে উইনার্স টিম ছিল। এবার কন্টাইতেও উইনার্স টিম কাজ শুরু করেছে। এগরা সহ অন্যান্য জায়গাতেও উইনার্স টিম চালু হয়ে যাচ্ছে।