রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
সাল ১৯৮৭, তারিখ ২৪ জুন। আর্জেন্তিনার রোজারিওতে জন্মানো বাচ্চাটা পায়ের সমস্যার জন্য বছরে পর বছর ভুগেছিল। মাত্র ১১ বছর বয়সে গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি (হরমোনের প্রভাবে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেমে যাওয়া) ধরা পড়েছিল। রাতের পর রাত পায়ের মধ্যে সূঁচ ফুটিয়ে চিকিৎসা হয়েছে। তিন বছর এভাবে চলেছিল। পিট্যুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের তারতম্যের জেন্যে তাঁর শারীরিক বৃদ্ধি থেমেছিল একটা সময়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর বাচ্চাটা সেরে ওঠে ঠিকই। কিন্তু পরে তাঁর ওই পা-ই গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়ে দিল। বাঁ-পায়ের জাদুকরকে গোটা পৃথিবী চেনে লিওনেল মেসি (Lionel Messi) নামে।
বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জয়ী ফুটবলের গ্রহের অন্য়তম শ্রেষ্ঠ তারকার ফুটবলে আর কিছুই প্রমাণ করার নেই। তিনি এখন কেরিয়ায়ের সায়াহ্ণে। ইউরোপিয়ান লিগের আর ধকল নেবেন না বলেই এখন তিনি আমেরিকায় শান্তিতে খেলছেন মেজর লিগ সকার। ইন্টার মায়ামির অধিনায়ক ও আটবারের ব্য়ালন ডি’অর জয়ী কি সন্ন্য়াস জীবনের পরিকল্পনা সেরে ফেললেন! শোনা যাচ্ছে এবার নাকি হলিউডে পা রাখছেন লিয়ো! কারণ তিনি এমন এক কাজ করে ফেলেছেন, যে কারণে এই জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে।
মেসি এবার প্রযোজনা সংস্থা খুলে ফেললেন। যেখানে বানানো হবে ওয়েব সিরিজ এবং চলচ্চিত্র, থাকবে ব্র্য়ান্ড কন্টেন্ট, কমিউনিটি ইভেন্ট ও লাইভ অনুষ্ঠানও। এই সংস্থার নাম ‘৫২৫ রোজারিও’। স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান স্মাগলার এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে এই সংস্থা। লম্বা সময়ের পরিকল্পনার পরই মেসি তা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন। অবশেষে আলোর মুখ দেখল ৫২৫ রোজারিও।
শুরুতেই মেসি ১.১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। বিনোদনের এই ব্যবসায় অনেক আগের থেকেই আসার পরিকল্পনা ছিল এলএমটেনের। স্মাগলার এন্টারটেইনমেন্ট এরই মধ্যে মেসির বিশ্বকাপ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে। যার নাম, ‘মেসির বিশ্বকাপ: দ্য রাইজ অব আ লিজেন্ড’। যা অ্যাপেল টিভি প্লাসে দেখার সুযোগ রয়েছে।
নিজের নতুন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিয়ে মেসির সংযোজন, ‘বিনোদন সব সময়ই আমার ভীষণ আগ্রহের জায়গা। আমি মাঠে থাকি বা অন্য কোথাও থাকি। আমি বিনোদন ঠিক খুঁজে নিই। আমি খুব আগ্রহ নিয়েই নতুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসেছি। যা ভালোমানের কনটেন্ট বানাবে। মায়ামি এবং মেসির জন্মস্থান রোজারিও থেকে এই প্রতিষ্ঠান চালানো হবে।