সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
আজ মহালয়া (Mahalaya)। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা। পিতৃপুরুষকে তর্পণের দিন। ভোর থেকে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে চলছে তর্পণ। পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে চলছে শ্রদ্ধা নিবেদন।
বুধবার হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে সাধারণ পুণ্যার্থীদের সঙ্গে তর্পণ করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)।
আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি রামকৃষ্ণপুর ঘাটে আসেন। হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে ঘাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। এরপর তিনি লঞ্চে চেপে রামকৃষ্ণপুর ঘাট, তেলকল ঘাট এবং জেটিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন।
এরপর গাড়িতে ওঠার আগে তিনি গঙ্গায় তর্পণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গার ধারের এক মন্দির থেকে পুরোহিতকে ডেকে আনা হয়। সেই সময় ডিজি সাধারণ পুণ্যার্থীদের সঙ্গে গঙ্গায় নেমে যান। গঙ্গার এক বুক জলে প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে পুরোহিত তাঁকে তর্পণ করান। তিনি পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জল দেন।
ঘাটের নিরাপত্তার জন্য হাওড়া সিটি পুলিশ আগে থেকেই ড্রোন, স্পিডবোট, পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের লঞ্চ এবং দুটি নৌকা টহল দিচ্ছিল। রাজীব কুমারের তর্পণের সময় নদীতে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের কর্মীদের কাছাকাছি ঘিরে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার সহ হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে তর্পণ শেষে সাঁতার কেটে গঙ্গা থেকে উঠে আসেন রাজীব কুমার। বেলা ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ তিনি রামকৃষ্ণপুর ঘাট ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।