শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“২৬-এ ক্ষমতার জন্য যা খুশি করতে প্রস্তুত। হিন্দুদের প্রতি যে বিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অথচ এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলছেন না। আমি বলছি, আমরা ওদের কেটে ভাগিরথীতে ভাসিয়ে দেবো না, কারণ ভাগিরথী আমাদের মা। আমরা ওদের কেটে ওদের মাটিতে ফেলব।” এভাবেই আজ রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সরকার গঠনের হুঙ্কার দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
বাংলা সফরে এসে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী-সহ বিজেপির একাধিক দলীয় নেতৃত্ব। মিঠুন চক্রবর্তীকে সম্মাননা জানান হল রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে। বিশিষ্ট অভিনেতাকে সম্মান জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ”ছবি নিয়ে কিছু বলব না। আজ সদস্যতা নিয়ে বলব। আমি ৩৭ দিন সামনে থেকে প্রচার করেছি মুড়ি-গুড় খেয়ে। কিন্তু লাভ কী। আপনারা বলুন আমায় আমরা ১ কোটি সদস্য করতে পারব? যদি পারি আমি বলছি ২৬ মসনদ আমাদের । অমিত শাহ সামনে আমিও কথা দিচ্ছি।”
বক্তৃতা করতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, “রেজাল্টের পর খুব দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু বিজেপি কখনো পরাজয় নিয়ে ভাববে না। আমরা ওদের কেটে ওদের মাটিতে ফেলব।” এই বক্তব্য বাংলার রাজনৈতিক মহলে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
কোনও রাখঢাক না করেই মিঠুন বলেন, “বার বার বলছি, যা করতে হয়, সব। এমন সদস্য চাই, যাঁরা বুক চিতিয়ে বলবেন, ‘মার, কত গুলি আছে দেখি’। এমন কর্মী চাই না, যাঁরা টাকা নিয়ে কাজ করেন। এমন করলে আপনারা তৃণমূলে চলে যান। আমি বলে যাচ্ছি, আপনারা আমাদের বাগানের একটা ফল যদি ছেঁড়েন, আমরা চারটে ছিঁডব। এটা সত্যি। নইলে জিততে পারব না। এরা আমাদের মারবে, হিন্দু ভোটারদের ভোট দিতে দেবে না। এভাবেই জিতবে। ওরা যদি হিন্দু ভোটারদের ভোট দিতে না দেয়, আমরাও প্রস্তুতি নেব যাতে ওদের ভোটাররাও ভোট দিতে না পারেন। এটা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলছে না, ১৯৬৮ সালের ২৮ বছর বয়সি মিঠুন বলছে। রাজনীতি করেছি, রক্তের রাজনীতি করেছি। সব জানি, কে, কোথা থেকে, কী করবে। আপনাদের পাশে চাই, সাহস চাই, বুক চিতিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”
অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা আরও বলেন, ”টাকা দেখে বিজেপি করবেন না। বিজেপি ছেড়ে দিন। তৃণমূলে যোগ দিন। হিন্দু ভোটারদের ভোট দিতে না দিলে আগামী ভোটে আমরাও ওদের ভোট দিতে দেব না। ৬৮ সালের মিঠুনকে চিনে নেবেন। মাসে ৩০ দিনের মধ্যে ১০ দিন দলের কাজ করবো।প্রয়োজনে আরও বেশি। কিছুদিন নিজের খাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে আমাকে। বুথে বুথে আমাদের মেরে তাড়িয়ে দেবে কেন। আমরাও ছাড়ব না এবার। মারুক ওরা। প্রতি বুথে যাব এবার”।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানালেন, ”পুরানো কার্যকর্তাদের সদস্য হতে এবং সদস্যতা তৈরি করতে মাঠে নামতে হবে। লোকসভার রেজাল্টে ২৮/২৯ বিধানসভা কম ভোটে হেরেছি। ১৫০০০ মার্জিনে হেরেছি অনেক বিধানসভায়। ৩-৪% ভোট বৃদ্ধি করতে পারলে রাজ্যে বদলে যাবে ভোটের চিত্র। সময় আছে সচেতন হও, বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নাও।”