সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
ভাতার পাশাপাশি একাধিক সুবিধা পেয়ে থাকেন রাজ্যের বিধায়করা। তার মধ্যে অন্যতম হল স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা। অর্থাৎ কোনও বিধায়ক হাসপাতালের বিল জমা দিলে তার খরচ বহন করে বিধানসভা। সেই মতো মঙ্গলবার হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক সন্তান জন্মের বিল জমা দেওয়ার জন্য খোঁজ নিলেন বিধানসভায়। যা দেখে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সদ্য় বাবা হয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। কন্যা কৃষভির জন্ম দিয়েছেন তিনি। কন্যা সন্তান জন্মের খরচ ছ’লক্ষ টাকা। বিধানসভায় বিল জমা দেওয়ার জন্য সচিবালয় খোঁজ নিয়েছেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। সন্তান জন্মের খরচ এত হতে পারে? চর্চা বিধানসভা জুড়ে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক নিয়েছেন ৪ লক্ষ টাকা। আর বাকি খরচ ২ লক্ষ টাকা।
দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে কন্যা সন্তান জন্ম দেন কাঞ্চনের স্ত্রী শ্রীময়ী। তারই খরচ ৬ লক্ষ টাকা। এত বিল? বিধানসভা কি দেবে? বস্তুত, বিধানসভায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিলের কোনও উর্ধ্বসীমা নেই। তবে একমাত্র চশমার বিল তৈরিতে রয়েছে ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে। এর আগে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রি মিত্র চশমার বিল তৈরিতে পঞ্চাশ হাজার টাকার বিল ধরিয়েছিলেন। তারপর চশমার বিলের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা উর্ধ্বসীমা ধরা হয়। বাকি চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই। এক্ষেত্রে রিমবাসমেন্ট পাওয়ার জন্য বিল জমা দিতে চান কাঞ্চন মল্লিক।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সব কাগজ পত্র দেখব। যাচাই করব। তারপরে যদি মনে হয় যে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে তাহলে ডেকে পাঠাব। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।”
অনেক বেশি বিল হলে বা যা নিয়ে চর্চা হয়। সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে হাসপাতালে সুপারকে অথবা চিকিৎসককে ডেকে পাঠিয়ে জানতে চান স্পিকার।