সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
৬-এ ৬! উপনির্বাচনেও ব্যাপক জয়ের পর আপ্লুত তৃণমূল নেতৃত্ব। নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের ৬ প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। আর তার জন্য সাধারণ মানুষকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। আর লিখেছেন, ‘পাহারাদার’ হিসাবে সবসময়ই তাঁরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন। আর মানুষের আর্শীবাদ তাঁদের হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, “আমি আমার হৃদয়ের অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বাংলার মানুষকে। আপনাদের আর্শীবাদ আমাদের আগামীর পথ চলাকে আরও মসৃণ করবে।” নাম না করে বিজেপিকে ‘জমিদার’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। আর নিজেদের অর্থাৎ মা-মাটি-মানুষের দলকে ‘পাহারাদার’ হিসাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। লিখেছেন, “আমরা জমিদার নই। মানুষের পাহারাদার। আর এই ভাবেই মানুষের আর্শীবাদ নিয়ে থাকতে চাই।”
এদিকে বাংলার পাশাপাশি আরও একাধিক রাজ্যের বিধানসভা আসনে নির্বাচন হয়েছিল সম্প্রতি। সেই সব আসনেরও ফল আজ প্রকাশিত হল। বাংলার পাশাপাশি মেঘালয় বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। এখন সেই রাজ্যে তৃণমূলই প্রধান বিরোধী দলনেতা। তবে সেই আসনে লড়াই দিলেও জিততে পারেনি তৃণমূল। তবে দলের কর্মীদের তাও অভিনন্দন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘলায়ের গামবেগরে আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সম্প্রতি। আজ নির্বাচন কমিশন এই কেন্দ্রের ফল প্রকাশ করতে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বী করা সাধীরানি এম সাংমা। উল্লেখ্য, এই আসনে এনপিপির টিকিটে লড়েছিলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার স্ত্রী মেহতাব চান্ডি আগিটক সাংমা। এদিকে এই আসনে এনপিপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপিও। তবে তারা সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি এখানে। বরং এনপিপি বিরোধী ভোটে ভাগ বসিয়ে তৃতীয় হয়েছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, এই রাজ্যে কংগ্রেসকে ভাঙিয়েই নিজেদের অস্তিত্ব স্থাপন করেছিল তৃণমূল।
এই আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘আমি সাধিয়ারানি এম সাংমা এবং সমগ্র দলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। মুকুল সাংমা এবং চার্লস পিংগ্রোপের দক্ষ নেতৃত্বে মেঘালয়ে তৃণমূলের ইউনিট অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এবং সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা এমন একটি শক্তিশালী লড়াই করেছি। তার জন্য আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। মেঘালয় ইউনিটের সকল সৈনিকদেরও স্যালুট জানাই আমি। মেঘালয়ের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে আমরা আমাদের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। গামবেগরের জনগণকে তাদের ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি, এই সুন্দর রাজ্যের মানুষের সেবায় কোন কসরত ছাড়বে না তৃণমূল।’