কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি সামনে রেখে নন্দীগ্রামে নিজের বুথ নন্দনায়ক বাড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষের আস্থা হারাতে শুরু করেছে বিজেপি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের শুভেন্দু অধিকারীর উপরে নন্দীগ্রামের মানুষ যে আজ তারিখে ছিল সেই আস্থা হারিয়ে যেতে শুরু করেছে বলে মনে করছে বিজেপি।
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের লোডশেডিং করে ভোটের ফলাফল বদলে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই সঠিকভাবে ভোট হলে নন্দীগ্রামে যে কোন বুথে শুভেন্দু অধিকারীর পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।
নন্দীগ্রামের কাণ্ডপসরা বাড়কাণ্ডপসরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। রবিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি দখল করে সমবায়টি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে, তৃণমূল জয়লাভ করেছে ৪টি আসনে। তবে নন্দীগ্রামের একটি বিশেষ বুথের ফলাফল ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র হয়েছে।
নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবাড় বুথ, যেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভোটার হিসেবে নিবন্ধন রয়েছে, সেই বুথে তৃণমূল প্রার্থী অনিমেষ দাস জয়ী হয়েছেন।
তৃণমূলের দাবি, এটি বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের তৃণমূল নেতা বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, "এই প্রথমবার শুভেন্দু অধিকারীর বুথে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এটি প্রমাণ করে নন্দীগ্রামের মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিজেপিকে প্রত্যুত্তর দিতে প্রস্তুত।"
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, "কাণ্ডপসরা সমবায়ের ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে। এটি শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বের সাফল্য। সাম্প্রতিক সময়ে নন্দীগ্রামে ৮টি সমবায়ের নির্বাচনের মধ্যে ৭টিতে বিজেপি জয়লাভ করেছে, যা প্রমাণ করে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা তলানিতে।"

কাণ্ডপসরা সমবায় নির্বাচনের এই ফলাফল নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক পরিবেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিজেপি সমবায়গুলিতে নিজেদের শক্তি আরও বাড়ানোর লক্ষ্য রাখছে, যেখানে তৃণমূল তাদের হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।