সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
ডেস্টিনেশন বেঙ্গল। destination সিঙ্গুর। এবারে বড় মাপের বিনিয়োগ আসতে চলেছে হুগলির সিঙ্গুরে।
সেই সিঙ্গুর – যেখানে টাটা মোটরসের ন্যানো কারখানা তৈরীর জন্য বাংলার কৃষকদের আন্দোলন পৃথিবীর সমস্ত দেশের মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছিল।
সেই সিঙ্গুরেই এবারে আসতে চলেছে নতুন শিল্প। পাশাপাশি হবে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান।
সিঙ্গুর থেকেই উৎপন্ন সামগ্রী পৌঁছে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইউরোপের দেশ গুলিতে।
তাই আরো একবার হুগলির সিঙ্গুরকে কেন্দ্র করে শুরু হলো স্বপ্ন দেখা।
কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে জমি কেড়ে নিয়ে টাটা মোটরসের ফ্লপ ন্যানো কারখানার প্রকল্প নয়, সিঙ্গুরে এবারে গড়ে উঠতে চলেছে পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় জুয়েলারি হাব।
দ্য জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল বা জি জে ই পি সি ভারতবর্ষে দীর্ঘকাল ধরেই যাবতীয় গয়না সোনা হীরে শিল্পের সর্বোচ্চ সংস্থা। The Gem & Jewellery Export Promotion Council (GJEPC) ।
কলকাতায় পূর্বভারতীয় সদর দপ্তরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দ্য জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিপুল শাহ জানালেন, “চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম ৯ মাসে ভারত থেকে সামগ্রিকভাবে হিরে রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ১০% কমে গেলেও আশার আলো জাগিয়ে অন্তত ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার রপ্তানির ক্ষেত্রে। আমরা আশা করছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে হীরের রপ্তানির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।”
তবে দ্য জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিপুল জানান, বাংলায় যেভাবে জুয়েলারি বা গয়না শিল্পে অত্যন্ত দক্ষ কারিগর রয়েছে সেই স্কিল্ড লেবার কাজে লাগানোর জন্য হুগলির সিঙ্গুরে একটি আন্তর্জাতিক মানের জুয়েলারি হাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এই জুয়েলারি হাত থেকে কস্টিউম জুয়েলারি এবং সোনা ও হীরের সূক্ষ্ম কাজের নিদর্শন ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ক্ষেত্রে অনেকটা কার্যকর হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জুয়েলারি রপ্তানির পরিমাণ বাড়লে আশেপাশের এলাকাও যথেষ্ট উপকৃত হবে।”
তবে এই প্রস্তাবিত জুয়েলারি ভাবের জন্য কোন জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনিচ্ছুক কৃষকদের পিটিয়ে গ্রেফতার করে জোর করে জমি কেড়ে নিয়ে নয়, নিজস্ব টাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জমি কিনে বাস্তবসম্মতভাবে শিল্প স্থাপন করাই মূল লক্ষ্য – বলে আগেও বারে বারে প্রকাশ্য জনসভা থেকে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।