শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“মাননীয়া, আপনি তো কলকাতা কে লন্ডন বানাতে গিয়ে, ঢাকা বানিয়ে ফেললেন ! পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে বলবো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান, পশ্চিম বাংলাদেশে বসবাস করার অভ্যাস এখন থেকেই করিয়ে দিচ্ছেন উনি।” এভাবেই খাস কলকাতা শহরে যোগেশচন্দ্র কলেজের সরস্বতী পূজো নিয়ে বহিরাগতদের হুমকির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কলেজে আইন পড়াশোনা করেছিলেন সেই যোগেশচন্দ্র আইন কলেজে সরস্বতী পূজা আটকাতে ছাত্রীদের ধষণ-খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে । এনিয়ে চারু মার্কেট থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। পুলিশের উপর ভরসা না করে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা । আজ শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ওই মামলার শুনানি হয়। আদালত কলেজে পুলিশ মোতায়েন করে সরস্বতীপুজোর অনুমতি দিয়েছে । আদালতের এই নির্দেশের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন।
কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরি ল’কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে । শুধু তাইই নয়,পুজোয় বাধা দিয়ে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে । ফলে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গেছে রাজ্য জুড়ে। বিশেষ করে ওই কলেজেই পড়াশোনা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যেকারণে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে রাজ্যের শাসকদলকে। কারণ কলেজে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা সহ খোদ অধ্যক্ষ। হাইকোর্টে মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, কলেজে যেখানে পুজো হয়, সেখানে অস্থায়ী নির্মাণ তৈরি করেছে বহিরাগতেরা। ফলে সরস্বতী পুজো এক প্রকার অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কলেজে।
তারপরেই আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন যোগেশচন্দ্র আইন কলেজে সরস্বতীপুজোয় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বহিরাগতেরা যাতে কলেজে প্রবেশ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। কলেজে কারা প্রবেশ করছে বা কারা বেরিয়ে যাচ্ছেন, তার উপরও নজর দিতে হবে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, লালবাজারের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ)-এর নজরদারিতে হবে যোগেশচন্দ্র ডে এবং আইন কলেজের সরস্বতীপুজো। সেই সাথে বহিরাগতদের অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার জন্যও চারু মার্কেট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শুধু তাই নয়, ভাঙার সময় ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে এবং আগামী বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন তা আদালতে দেখাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।