বিতস্তা সেন। কলকাতা সারাদিন।
সম্পর্কের রসায়ন গভীর হলে তা দীর্ঘমেয়াদী হয়। সম্পর্ক শুধু ভালোবাসা ও আকর্ষণের উপর নির্ভর করে না। এখানে দুই দিক থেকেই চেষ্টা এবং পারস্পরিক নিষ্ঠার প্রয়োজন। বছরের পর বছর ধরে যে দম্পতিরা একসঙ্গে কাটান, তাঁদের বেশ কিছু অভ্যাস হয়ে যায়। যা তাঁদের সম্পর্কের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে।
জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো একসঙ্গে কাটিয়ে দিতে সাহায্য করে। সম্পর্ক নতুন হোক বা পুরনো সেখানে কিছু ম্যাজিক না থাকলে ম্যাড়ম্যাড়ে লাগবে। সামনেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। পার্টনারের সঙ্গে বিশেষ দিন কাটানোর আগে তাকে স্পেশাল ফিল করাতে পারেন। একইসঙ্গে সুখী সম্পর্কের জন্য ৭টি সহজ অভ্যাস অবলম্বন করতে পারেন। সেগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হল
সম্পর্কে নমনীয়তা প্রয়োজন
জীবনে পরিবর্তন অনিবার্য। প্রতিটি পদে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে সকল ব্যক্তিকেই যেতে হয়। একজন দম্পতি তখনই সুখী ও সফল হন, যে সময় তাঁরা পরিবর্তন মেনে নেন। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেন। তারা জানেন যে জীবনের কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়। সম্পর্কে নমনীয়তা প্রয়োজন।

শারীরিক স্নেহের দিকে নজর রাখা
শারীরিক স্পর্শ একটি সুস্থ সম্পর্কের অপরিহার্য উপাদান। যে দম্পতিরা ধারাবাহিকভাবে শারীরিক স্নেহের প্রতি খেয়াল রাখেন, তাঁদের সম্পর্কে আকর্ষণ বজায় থাকে। একে অপরকে স্পর্শ করা যেমন – আলিঙ্গন, চুম্বন এবং আলতো ছোঁয়া ভালোবাসা প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে মানসিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। মনে চাপ কমে। এর ফলে দম্পতিরা রোমান্টিক এবং আবেগপ্রবণ হতে পড়েন। এই রকম সম্পর্ক কখনওই উজ্জ্বলতা হারায় না।
একে অপরের লক্ষ্য শেয়ার করা
কোনও সম্পর্কে শান্তি বজায় থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে দম্পতিদের প্রয়োজন একে অপরের লক্ষ্য পরস্পরের সঙ্গে শেয়ার করা। যাতে ভবিষ্যতে তাঁরা একে অপরকে খোলা মনে সমর্থন করতে পারেন। একে অপরের লক্ষকে সম্মান জানাতে হবে।
৪) দ্বন্দ্বর নিরসন হোক যুক্তি দিয়ে
প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। কিন্তু দম্পতিরা কীভাবে সেগুলোর মোকাবেলা করে সেটা আসলে গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের কথা মনোযোগ সহকারে শোনা দরকার। একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি স্বীকার করা প্রয়োজন। এবং এরপর পারস্পরিকভাবে সন্তোষজনক উত্তর আসে।

৫) একে অপরের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রকাশ করা
পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও প্রশংসা একটি সুস্থ সম্পর্কের অন্যতম স্তম্ভ। যে দম্পতিরা একে অপরের গুণ, শক্তি এবং অবদানকে সত্যিকার অর্থেই মূল্য দেয় তাদের সফল দম্পতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যারা একে অপরের প্রশংসা করেন, খেয়াল রাখেন, চিন্তাভাবনার গুরুত্ব দেন সেই অভ্যাস আত্মসম্মান তৈরি করে। একে অপরের প্রতি পারস্পরিক বিশ্বাস এবং আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে দম্পতির মধ্যে বন্ধন এবং মানসিক সংযোগ বেড়ে ওঠে।
৬) একসঙ্গে ভালো সময় কাটানো
সুখী দম্পতি হতে গেলে অতি অবশ্যই কোয়ালিটি টাইম কাটানো প্রয়োজন। যেমন- একে অপরের শখ যেন পূরণ হয়, তাতে নজর রাখেন। ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় বের করে কখনও বাইরে বা বাড়িতে একসঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনার করতে পারেন। একসঙ্গে ভালো সময় কাটালে যেমন নানা মুহূর্ত তৈরি করা যায়, তেমনই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।

৭) একে অপরের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা
যে দম্পতিরা খোলামেলা কথা বলেন, শ্রদ্ধাশীল কথোপকথনের উপর জোর দেন তারা খুশি থাকেন। একে অপরের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করেন। এতে সঙ্গীর অনুভূতি, উদ্বেগগুলি বোঝা যায়। ভুল বোঝাবুঝি যাতে না হয়, তাই পরিষ্কার কথা বলা একান্তই প্রয়োজন।