শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
রিংগার ল্যাকটেট স্যালাইনের পরে এবারে ওষুধেও দুর্নীতির বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার নতুন একটি মেডিসিন দুর্নীতির অভিযোগের পর্দাফাঁস বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা জানান, রাজ্যের আওতাধীন সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের তরফে গত ৩১ জানুয়ারি একটি জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশিকা জারি হয়। তাতে সরকারের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স সম্প্রতি রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলি সহ জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের নোটিস দিয়ে বলেছে ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিসের সাপ্লাই করা কোনও ওষুধ বা সামগ্রী ব্যবহার না করতে, তা বর্জন করতে। হাসপাতালে যদি স্টক থাকে তাহলে তা যেন অব্যবহৃত রাখা হয়। এর কারণ, গত ২৯ জানুয়ারি স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে ফার্মা ইমপেক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে।
শুভেন্দুর কথায়, ”এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি, একটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ হল বা ব্যবহার করা যাবে না, সে ব্যাপারেও কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, এটাও একটা বড় ষড়যন্ত্র।” এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের থেকে উত্তর চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর মূল প্রশ্ন, এমন কী হল যার জন্য ওই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন করতে বারণ করে দেওয়া হল এবং আর কোন কোন ওষুধ উৎপাদন হবে না।
জনস্বাস্থ্যের বিষয় জড়িয়ে রয়েছে, আর তাই হঠাৎ কেন ওই সংস্থাকে সব ধরনের ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করতে বলা হল, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা।

তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের যে ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হল, তা তো ইতিমধ্যেই বেশকিছু রোগীকে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। শুভেন্দু বলেন, যদি ওই ওষুধে কোনও গরমিল থেকেই থাকে বা তাতে ঝুঁকি থেকে থাকে, তাহলে এতদিন যে রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া হয়েছে তাদের অবিলম্বে সতর্ক করা উচিত। ওষুধ ব্যবহারের ফলে কী পরিণতি হতে পারে তা জানানো উচিত। একইসঙ্গে এর জন্য কী চিকিৎসা প্রয়োজন, সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া উচিত। কিন্তু এনিয়ে রাজ্য সরকারের নীরবতা দেখে মনে হচ্ছে, গোটাটাই বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ।