প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
ভোগান্তি কমতে চলেছে শিয়ালদহ সেকশনে যাতায়াত করা রেলযাত্রীদের। শিয়ালদহ স্টেশন হয়ে যাতায়াত করা, ট্রেনগুলির যাবতীয় তথ্য পেতে চালু হল একটি অ্যাপ। লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এটি চালু করে দেওয়া হল। এর ফলে স্টেশনে ঢুকে লোকাল ট্রেনের সময়, প্ল্যাটফর্ম নম্বর, ট্রেন গ্যালপিং কি না জানা যাবে কয়েক সেকেন্ডেই। স্মার্ট ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে তাতে ক্লিক করলেই ট্রেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতের মুঠোয় পেয়ে যাবেন যাত্রীরা।
‘শিয়ালদহ সাবারবার্ন ট্র্যাকিং সিস্টেম'(এসএসটিএস)-গুগল স্টোরে গিয়ে এই নাম টাইপ করলেই অ্যাপ মিলে যাবে। শিয়ালদহ স্টেশন দিয়ে দৈনিক ১৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। তাঁদের ভীষণ সুবিধা হবে। এই অ্যাপে আগে থেকেই সমস্ত লোকাল ট্রেনের টাইমিং, কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে সব জানা যাবে। পাশাপাশি ট্রেনটির গন্তব্যে পৌঁছনোর সম্ভাব্য সময়ও আগে থেকে জানিয়ে দেবে অ্যাপটি। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তিতে লোকালের রিয়েল টাইম আপডেট হাতে হাতে পাবেন যাত্রীরা। অর্থাৎ শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে কোন সময় কোন স্টেশন পৌঁছচ্ছে ট্রেন সবটাই দেখা যাবে মোবাইলের পর্দায়।
তিন সেকেন্ড অন্তর আপডেট আসবে। অর্থাৎ তিন সেকেন্ড অন্তর শিয়ালদহ থেকে রওনা দেওয়া কিংবা এসে পৌঁছনো লোকাল ট্রেনের গতিবিধির প্রকৃত চিত্র উঠবে ফুটে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ট্রেনটি কত বগির বা গ্যালপিং কি না, তাও জানা যাবে।
রেলযাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে শিয়ালদহ ডিভিশনে চলা কোনও লোকাল বাতিল হলে কিংবা চলাচলের সময়ের হেরফের হলে সেই সংক্রান্ত তথ্যও নিমেষে চলে আসবে অ্যাপে। জানা গিয়েছে, এই অ্যাপের ‘নোটিফিকেশন’ অপশনে গিয়ে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ জানতে পারবেন যাত্রীরা।
শিয়ালদহ শাখায় মোট তিনটি সেকশন রয়েছে। নর্থ, সাউথ এবং মেইন। বর্তমানে লোকাল-দূরপাল্লা মিলিয়ে প্রতিদিন আটশো’রও বেশি ট্রেন চলাচল করে শিয়ালদহ দিয়ে। এই বিরাট সংখ্যক ট্রেনের যাবতীয় সুলুকসন্ধান দিতে শিয়ালদহ ডিভিশনের অফিসারদের তৈরি এই প্রযুক্তি নয়া দিগন্ত খুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। রেলকর্তাদের দাবি, পূর্ব রেলের চারটি ডিভিশনের মধ্যে একমাত্র শিয়ালদহে এই অ্যাপ কার্যকর হয়েছে।
ডিভিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১২১টি রেকে এখনও পর্যন্ত জিপিআরএস ডিভাইস লাগানো হয়েছে। যার মাধ্যমে লোকালের যাবতীয় তথ্য চলে আসছে হাতের মুঠোয়। আগামী দিনে শিয়ালদহ থেকে ছাড়া দূরপাল্লার ট্রেনের জন্যও এই ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে বলে আশাবাদী রেলকর্তারা।