সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী (Sayan Lahiri)র মুক্তির নির্দেশ বহাল রাখল সর্বোচ্চ আদালত। আজ সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয়।
যা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাছে।
আরজি করের ঘটনার দাবিতে নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan)-এর ডাক দেওয়া হয়। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর তরফে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী মানুষকে জাতীয় পতাকা হাতে নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়ার ডাক দেন। আর সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়।
গঙ্গার দুপার অর্থাৎ কলকাতা এবং হাওড়া একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, জল কামান, কাঁদানে গ্যাস প্র্যহ করতেও বাধ্য হন। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। পাথরের আঘাতে এক পুলিশ আধিকারিকের চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। আর এই ঘটনায় সায়ন লাহিড়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যা নিয়ে ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে।
সায়নকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। যদিও গ্রেফতারিকে চ্যলেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্য প্রশাসনকে। সন্দীপ ঘোষ কেন গ্রেফতার নয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে সায়নকে রবিবার দুপুর দুটোর মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই অনুযায়ী ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী (Sayan Lahiri)কে রবিবার দুপুরের মধ্যেই মুক্তি দেয় পুলিশ। কিন্তু এরপরেই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। আজ সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে দীর্ঘ বিষয় উঠে আসে। রাজ্যের তরফে সায়ন লাহিড়ীকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।