শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
মঙ্গলবারের পরে ফের উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। স্লোগান তুলে ওয়াক আউট করলেন বিজেপির বিধায়করা। এরপরই বিধানসভার গেটে বসে পড়েন তাঁরা। চলে বিক্ষোভ।
বুধবার রাজ্যের চা-বাগানের ৩০ শতাংশ জমি পর্যটনে ব্যবহার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ না মেলায় বুধবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ। স্লোগান তুলে ওয়াক আউট করেন বিজেপির বিধায়করা। এরপরই বিধানসভার গেটে বসে পড়েন তাঁরা।
সম্প্রতি রাজ্যের তরফে চা বাগানের ৩০ শতাংশ জমি পর্যটনের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। তা নিয়ে নানা মহলে নানামত। বুধবার রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। তবে এই সংক্রান্ত আলোচনা হয়নি। এরপরই স্লোগান তুলে ওয়াকআউট করেন বিজেপির বিধায়করা। অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিধানসভার গেটে বসে পড়েন তাঁরা। উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা চত্বর। বিক্ষোভে শামিল হয়েছে শংকর ঘোষ, বিশাল লামা-সহ অন্যান্যরা।
চা বাগানে জমি ফ্রি হোল্ড করার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ২০ শতাংশ চা বাগানের জমি ফ্রি হোল্ড করে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করবেন ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়কররা। বুধবার এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট নিয়ে আলোচনা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে নিয়ে প্রতিবাদ করেন বিজেপির বিধায়করা। তাদের মতে এমন সিদ্ধান্তে উত্তরবঙ্গ সহ চা বাগানের মারাত্মক ক্ষতি হবে। এরপরেই ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়করা অধিবেশন কক্ষেই স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর ওয়াক আউট করে বিজেপি।
উল্লেখ্য, চা শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে আগামী ২৩ তারিখ কালচিনিতে সভা করার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ওই সভায় থাকতে পারেন বিমল গুরুং।
এদিকে বুধবারই সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে শামিল হয় এবিভিপি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ। চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশ কয়েকজনকে আটকও করেছে পুলিশ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রথমে সাসপেন্ড এবং পরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনার প্রতিবাদে স্পিকারের ভূমিকার নিন্দা করে বুধবার বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাল আরএসএসের শাখা সংগঠন অখিল ভারতীয় যুব পরিষদ (এবিভিপি)। এদিন এবিভিপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বিধানসভা চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিধানসভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা তৎপর হওয়ায় বড় কোনও গোলমালের ঘটনা ঘটেনি।