সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
হোলির সঙ্গে নানান পৌরাণিক কাহিনির উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রহ্লাদের ভক্তি, হিরণ্যকশিপু বধের কাহিনি, আবার রাধা-কৃষ্ণের রাসলীলার সুবাস রয়েছে এই উৎসবে।
পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী ‘হোলিকা দহন’ থেকে এসেছে হোলি, যা অসত্য ও অধর্মের বিরুদ্ধে সত্য ও ধর্মের জয়ের প্রতীক। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাক্ষসকুলে জন্মানো প্রহ্লাদের কাহিনি। রাক্ষস বংশের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও নারায়ণের অনন্য ভক্ত ছিলেন প্রহ্লাদ। কিন্তু তাঁর পিতা হিরণ্যকশিপু সন্তানের ঈশ্বরভক্তিতে ক্ষুব্ধ ছিল। এ কারণে প্রহ্লাদকে নানা ধরনের কষ্ট দিতে হাত কাঁপেনি তার।
শেষে বোন হোলিকার সঙ্গে মিলে প্রহ্লাদকে পুড়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র করে হিরণ্যকশিপু। কঠোর তপস্যার পর আশীর্বাদস্বরূপ হিসেবে পাওয়া একটি চাদর গায়ে দিয়ে প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে জ্বলন্ত কাঠের ওপর বসে হোলিকা। এই চাদর গায়ে থাকলে কোনো আগুন পোড়াতে পারবে না তাকে। এদিকে বিষ্ণুর নাম জপ করতে করতে প্রহ্লাদ পিসির কোলে বসে পড়ে। নারায়ণের কৃপায় সেই চাদর উড়ে প্রহ্লাদের শরীর ঢেকে দেয় এবং আগুনে পুড়ে যায় হোলিকা। সেই থেকেই হোলিকা দহনের প্রথা পালিত হতে শুরু করে। সত্যের জয়ের প্রতীক এটি।