শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“দেউচা পাচামি নিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি রাজ্য সরকারের।পাচামিতে আদিবাসীরা প্রতারিত হয়েছেন।” এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লন্ডন থেকে ফেরার দিনে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার শুভেন্দু বলেন, “দেউচা পাচামি নিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি রাজ্য সরকারের।পাচামিতে আদিবাসীরা প্রতারিত হয়েছেন। দেউচায় কর্মসংস্থান নিয়ে মিথ্যে তথ্য দিচ্ছে রাজ্য। আদিবাসীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। শিল্পের নামে মিথ্যে প্রচার মুখ্যমন্ত্রীর।”
দেউচা পাচামি নিয়ে লন্ডনে বণিক সভার সঙ্গে বাণিজ্য বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল বিনিয়োগ এবং বিপুল কর্মসংস্থানের যে দাবি করেছেন তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করে এই প্রকল্পের মমতার সরকারের বিপুল দুর্নীতির রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে দাবি, “আদিবাসীদের বঞ্চিত করে বাইরের লোকেদের পাট্টা দেওয়া হয়েছে। দেউচা পাচামি একটা বড় দুর্নীতি। জেলাশাসক জমি কেনা-বেচা বন্ধ করে দিয়েছে। দেউচায় জমির বিনিময়ে চাকরি হয়নি, চাকরি পাচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। আদিবাসীদের চাকরি দেওয়া হয়নি। পুলিশের সাহায্যে তৃণমূল সব করছে। রামনবমীর পর এটা নিয়ে বড় লড়াইয়ে নামবে বিজেপি। জেলাশাসকের বিরুদ্ধে রামনবমীর পর বড় জমায়েত।”

তবে এই প্রকল্পে শুভেন্দু অধিকারী বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ তুললেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন বীরভূমের জেলাশাসক। শুভেন্দুর এই অভিযোগের জবাবে বীরভূম জেলা প্রশাসন দ্রুত পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, প্রকল্পের প্রতিটি নিয়োগ ও জমি সংক্রান্ত কাজ সরকারি নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ভিত্তিহীন। অতিরিক্ত জেলাশাসক বাবুলাল মাহাতো প্রমাণ হিসেবে ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, স্থানান্তরিত গাছগুলোর সবই বেঁচে আছে এবং নতুন পাতা গজাচ্ছে।