সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
জনসমর্থন হারিয়ে অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। ধর্মতলার মহা সমাবেশ থেকে ঘোষণা করলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
তবে এও জানিয়ে রাখলেন, শুক্রবার থেকে লাগাতর ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থানে বিক্ষোভে সামিল থাকছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাতে রাজ্য সরকারকে তাঁরা একটাই বার্তা দিতে চান, তাঁরা কাজেও ফিরছেন, পাশাপাশি রাস্তায় থেকে বুঝিয়েও দিচ্ছেন, তাঁরা গণআন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
চিকিৎসকরা ঘোষণা করেছেন, ‘আমরা কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছি, তবে সরকার যদি আমাদের ১০ দফা দাবি না মানে, তাহলে আমরা আমরণ অনশনের দিকে এগোবো। আমরা জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত।’ সেই সঙ্গে দাবি পূরণের জন্য ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হলো রাজ্য সরকারকে।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, “সামান্য কিছু দাবির জন্য এত বড় আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছি। সরকার আমাদের ভয় পাচ্ছে এবং গণশত্রু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে। কিন্তু আমরা জানি, জনগণ আমাদের পাশে রয়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখেই আমরা এই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি।”
ধর্মতলার অবস্থান থেকেই দেবাশিস হালদার ঘোষণা করেন, “গণআন্দোলন বজায় রেখেই রোগীদের কথা মাথায় রেখে আমরা আজ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। জিবি মিটিংয়ে এটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটা যদি মনে হয় রাজ্য সরকার ভয় দেখাচ্ছে, ভাবছে জনগণ আমাদের পাশে নেই, ভয় পেয়ে কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছি, তাহলে ভুল ভাববে রাজ্য সরকার। আসলে জনগণ আমাদের পাশে রয়েছেই। একটাই পক্ষ।”
তবে কর্মবিরতি তুললেন, আন্দোলন যে আরও তীব্রতর হতে চলেছে, তার আভাসও দিয়ে রাখেন তিনি। দেবাশিস বলেন, “পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে লাগাতর অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছি। আমরা কাজে ফিরছি। আর এখানে বসে থেকে বুঝিয়েও দিচ্ছি, আমরা ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তাতেও আছি।”
অন্যদিকে, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেনজুনিয়র ডাক্তারা। কিন্তু অভিযোগ মিছিল ধর্মতলা পৌঁছতেই পুলিস তাদের বাধা দেয়। জানা গিয়েছে, ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে অপেক্ষারত তাঁদের কয়েক জন সহকর্মীকে টানা হিঁচড়া করা হয়েছে। আপন সামন্ত নামে এক ইন্টার্নের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।