সিপিএমের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেও শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের সঙ্গে টক্করে পেরে উঠল না ভারতীয় জনতা পার্টি। একদিনে পূর্ব মেদিনীপুরের জোড়া সমবায় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল তৃণমূল।
শুভেন্দুর জেলায় খাতা খুললো না বিজেপির:সব আসন তৃনমূলের
বামেদের সাথে গোপনে জোট করেও পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা ব্লকের অন্তর্গত চৈতন্যপুর অঞ্চলের ‘বরদা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড’-এর পরিচালন সমিতির নির্বাচনে পরিচালন কমিটির সব আসনের জয়ী হল তৃনমূলের প্রার্থীরা। এই সমিতির মোট আসন সংখ্যা ১২টি। এই সমিতির মোট ভোটারের সংখ্যা হলো ৪৭৮। তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ছিলেন ১২টি আসনেই।
রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বদের দাবি তাঁদের হারাতে গোপনে জোট করে সিপিএম ও বিজেপি । সেই জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা ছিলেন ১১জন। আর বাম শিবিরের প্রার্থী ছিলেন ৩ জন।
বরদা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড-এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছিলো চরমে।ভোট গ্রহন শেষ হওয়ার কিছুপরেই শুরু হয় গননা।রেজাল্ট বের হতে দেখা যায় সবকটা আসনেই জয়ী হয়েছে তৃনমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত এই সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটি আগেও তৃণমূলের দখলে ছিল।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার চোর পালিয়া সমবায় সমিতি নির্বাচনে বিপুল জয় অর্জন করল তৃণমূল কংগ্রেস। মোট ৬৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই জয়লাভ করেছে ৬৫টি আসনে, বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সবুজ আবির মেখে বিজয় উৎসবে মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে পরিচালন কমিটির ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল নাগাদ ভোট গণনার পর স্পষ্ট হয়ে যায় তৃণমূলের একচ্ছত্র দখল। এই নির্বাচনে বাম ও বিজেপি একজোট হয়ে লড়াইয়ের কথা উঠলেও, জনসমর্থনের অভাবে তারা ধোপে টিকতে পারেনি। যদিও সিপিআইএমের জেলা নেতা ঝাড়েশ্বর বেরা জানিয়েছেন, জোটের অভিযোগ ঠিক নয়, তৃণমূল সন্ত্রাস করেছে, জিততে পারবে না ভেবে ভোট লুট করে জয় লাভ করেছে।
এলাকার বিধায়ক ও বিশিষ্ট সমবায়ী নেতা তরুণ কুমার মাইতি জানান, সারা বছর তৃণমূল মানুষের পাশে থাকে। বিজেপির সন্ত্রাস ও অন্যায় কাজে মানুষ বিরক্ত। তাই মানুষ এবার উন্নয়নকেই বেছে নিয়েছে। বিশেষভাবে নজর কেড়েছে জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল। এই অঞ্চলটি বিজেপির দখলে থাকলেও, সেখান থেকেও ব্যাপক ভোটে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পান। বিজেপি নেতা অরূপ দাস কুমার দাস বলেন, মানুষ চায় না তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আসুক। চুরি-দুর্নীতিতে ভরা তৃণমূলের নেতারা হুমকি ও ভোট লুটের মাধ্যমে এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।