শৌভিক তালুকদার। কলকাতা সারাদিন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং শত্রুপক্ষের আক্রমণের হুমকির মুখে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে ১৯৬৮ সালের সিভিল ডিফেন্স আইন ও বিধিমালার অধীনে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে ১৯৬৮ সালের সিভিল ডিফেন্স রুলসের ১১ ধারা কার্যকর করা যেতে পারে।
ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা নিয়ে শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও আইবি প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই নির্দেশিকা পাঠায়। নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, ১৯৬৮ সালের অসামরিক প্রতিরক্ষা বিধির ১১ নম্বর ধারায় প্রদত্ত জরুরি অবস্থার ক্ষমতা বলবৎ করুন।
সাধারণত যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো জরুরি পরিস্থিতিতে ওই বিধি মেনে জনগণকে রক্ষা করা, সম্পত্তির সুরক্ষা এবং বিদ্যুৎ, জল ও পরিবহণের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা চালু রাখার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করার ক্ষমতা পায় রাজ্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দেশে সমস্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ও প্রশাসনকে সিভিল ডিফেন্স বিধি অনুযায়ী আপৎকালীন ক্ষমতা জারির কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী দেশের সমস্ত রাজ্যকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই বিশেষ আপৎকালীন ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, নাগরিকদের জীবন-সম্পত্তি রক্ষায় নিজ দায়িত্বে দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারা। জল, বিদ্যুৎ, হাসপাতাল পরিষেবা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল থাকে, তার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য। অসামরিক প্রতিরক্ষার জন্য যদি কোনও সরঞ্জাম কেনার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে কোনও এমন নিয়ম মানার প্রয়োজন নেই, যাতে গোটা বিষয়টিতে দেরি হয়। কোনও হামলার ঘটনার ঘটনা ঘটলে রাজ্যগুলি যাতে দ্রুত যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই তাদের এই ক্ষমতা দিল কেন্দ্র।

অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন, খাদ্য ঘাটতি সম্পর্কিত ভুল তথ্যের ফাঁদে পড়বেন না। জোর দিয়ে বলেছেন যে, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে যা বাধ্যতামূলক নিয়মের চেয়ে অনেক বেশি। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে খাদ্য ঘাটতি সম্পর্কে প্রচারিত মেসেজগুলিকে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার বলেছেন। দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।