রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে টার্কি চাষ, এবং শুরুতেই তা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে, টার্কি প্রতিপালনের জন্য স্থানীয় কয়েকজন মহিলা ও দুটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে পাখির বাচ্চা প্রদান করা হয়। ব্লকের প্রাণিসম্পদ বিভাগের আধিকারিকরা পর্যালোচনা করে দেখেন, যাঁরা টার্কির শাবক পেয়েছিলেন, তারা সফলভাবে পালন করেছেন এবং কয়েকজন তো টার্কির খামারও শুরু করেছেন।
সোনারপুর ব্লকের মহিলারা এই প্রকল্পে এমন সাফল্য অর্জন করেছেন, যা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একমাত্র সোনারপুর ব্লকেই টার্কি চাষ হচ্ছে। এই চাষের সাফল্য দেখে জেলা প্রশাসন অন্যান্য এলাকায়ও এটি শুরু করার পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে সোনারপুরে দেড় হাজারেরও বেশি টার্কি রয়েছে, এবং কিছু মহিলারা টার্কির মাংস কলকাতার বাজারে বিক্রি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন। এই মহিলাদের মাংস বিপণনেও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টার্কি চাষের জন্য শস্য শ্যমলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র মহিলাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। ছয় মাস বয়সের পর টার্কির মৃত্যুহার ছিল অনেক কম, যা নির্দেশ করে যে সঠিক যত্নে এবং পরিচর্যায় এরা দ্রুত পুষ্টি লাভ করতে পারে। পোল্ট্রি চাষের তুলনায় টার্কি চাষ লাভজনক বলে দাবি করছেন ব্লক প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বর্তমানে কলকাতার বাজারে টার্কির মাংসের চাহিদা বাড়ছে, ফলে সোনারপুর থেকে সহজেই টার্কি বিক্রি করা সম্ভব। দপ্তরের অনুমান, এই চাষে বিনিয়োগের তুলনায় আটগুণ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।