সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
বন্যা হোক অথবা লাগাতার বৃষ্টি বা আরজিকর কাণ্ড – দুর্গাপূজো এলে আর কোন কিছুই যেন মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে না বাঙালির। তাই এ বাড়ি যাবতীয় বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে কলকাতা সহ বাংলা জুড়ে আয়োজিত হচ্ছে রেকর্ড সংখ্যক দুর্গাপুজো।
স্বাভাবিকভাবেই তাই মহালয়ার দিন থেকে শয়ে শয়ে পুজো উদ্বোধন করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। মহালয়া থেকে শুরু করে প্রথম ৩ দিনেই কলকাতা সহ বাংলা জুড়ে উদ্বোধন করে ফেলেছেন প্রায় ১২০০ দুর্গাপুজো। তবে তাতেই কি আর শেষ আছে!
তাই তৃতীয়ার সকাল থেকেই আকাশের মুখ গোমরা হয়ে মাঝেমধ্যে কলকাতার রাস্তাঘাট ভিজিয়ে দিলেও বাড়িতে বসে থাকার জো নেই মমতার। প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শহরের একের পর এক দীর্ঘোৎসব কমিটির আয়োজকদের অনুরোধ ও আবেদনে সাড়া দিয়ে নেমে পড়তে হলো মমতাকে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ই দক্ষিণ কলকাতার চেতলা অঞ্চলে উদ্বোধন করেন ১৩ টি দুর্গাপুজো। এরপর মুখ্যমন্ত্রী একে একে সঙ্ঘশ্রী, ফরোয়ার্ড ক্লাব, ৬৪ পল্লী, বকুলবাগান, প্রিয়নাথ মল্লিক সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, অবসর, গোলমাঠ, বাটাম ক্লাব, পদ্মপুকুর, চক্রবেড়িয়া, ৭৬ পল্লী, মুক্ত দল দুর্গোৎসব কমিটির পুজো উদ্বোধন করেন।
তবে আপামর বাঙালি যেখানে মেতেছে দুর্গাপুজোয় পাশাপাশি কলকাতায় বসবাসকারী গুজরাটে বা অন্যান্য বেশ কিছু অবাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করছেন নবরাত্রি। তেমনি দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর এলাকায় যেখানে কলকাতার মধ্যে সবথেকে বেশি গুজরাতি বাসিন্দা রয়েছে সেখানে আজ চক্রবেড়িয়া অঞ্চলে আয়োজন করা হয়েছিল ডান্ডিয়া নাচের। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের এই অনুষ্ঠানে গিয়ে ডান্ডিয়া নাচেও পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “বাঙালির দুর্গোৎসব সকলের কাছে বিরাট উৎসব। সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এই দুর্গা পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। সকলে আমরা আনন্দ উপভোগ করি। রাস্তায় যানজট হচ্ছে। বৃষ্টি পড়লে এরকম হয়। অনেক জায়গায় গাড়ি পার্ক করে রেখে দিয়েছে। যার ফলে দু একটা জায়গায় আমি যেতে পারিনি।”