রঞ্জন মাহাতো। কলকাতা সারাদিন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই অবৈধভাবে বালি পাচার রুখতে তৎপর ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসন। বালি পাচারকারীদের নতুন কৌশল ভেস্তে দিল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসন।
কখনো বালি বোঝায় গাড়ির নাম্বার প্লেট নকল করে বালি পাচার করা হচ্ছে, আবার কখনো নকল বালি তোলার অনুমতি পত্র (সিও) ব্যবহার করে দেদার চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সতর্কবার্তার পর অবৈধ বালি পাচার রোধে নয়াগ্রাম থানার পুলিশের বড়সড় সাফল্য।
গোপন সূত্রে খবর আসে, নয়াগ্রাম থানার পুলিশের কাছে। নকল বালি তোলার অনুমতি পত্র (সিও ) ব্যবহার করে গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা নদীর সাতমা বালিঘাট থেকে অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাকগুলি রমরমিয়ে অবৈধভাবে বালি পাচার হচ্ছে।
সোমবার রাত্রে খবর পাওয়া মাত্র নয়াগ্রাম থানা বিশাল পুলিশবাহিনী নয়াগ্রাম থানা এলাকার ডাহিতে রাজ্য সড়কের উপর নাকা চেকিং চালিয়ে অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাকটি কে আটক করল পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনায় দুজন গাড়ির চালক ও খালাসীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার অভিযুক্ত গাড়ির চালক ও খালাসীকে ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করে নয়াগ্ৰাম থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন গনেশ গোপ ও ননিগোপাল মাহাতো। অভিযুক্তদের ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করলে মহামান্য বিচারক ৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে বালি বোঝাই ট্রাকটির বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়া হবে। বালি বোঝাই ট্রাকটির কাছে কোনও রকম অনুমতি ছিল না। নকল বালি তোলার অনুমতি পত্র (সিও) ব্যবহার করা হয়েছিল।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং এলাকার বালি তোলার অনুমতি পত্র (সিও) ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। আরও জানা গেছে, বেআইনি বালি পাচার রুখতে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অবৈধভাবে বালি পাচার রুখতে একাধিক লরি আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গোপীবল্লভপুরের এসডিপিও পারভেজ সরফরাজ বলেন, ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা ঘটনায় জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।