প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
সন্তোষ ট্রফি জয়ের জন্য বাংলার ফুটবল দলকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলার প্রত্যেক ফুটবলারকে সরকারি চাকরির ঘোষণা করেন মমতা।
দীর্ঘ আট বছর পর সন্তোষ ট্রফি ফিরেছে বাংলায়। সব মিলিয়ে ৩৩ বার ভারতসেরা বাংলা। সন্তোষ ট্রফি ফাইনালের আগে বাংলা টিমের ফুটবলার, কোচ সকলকে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। টিম কলকাতায় পৌঁছনোর পর আমন্ত্রণ জানান নবান্নে। সেখানেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আজ বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
নবান্নে বাংলা টিমের ফুটবলার, কোচ এবং টিমের সঙ্গে যুক্ত সাপোর্ট স্টাফদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে বাংলা টিম। কেউ তথাকথিত তারকা নন। তবে মাঠে জান লড়িয়ে খেলেছেন। তার সাফল্যও মিলেছে। সঞ্জয় সেনের অবদানও ভোলার নয়। রবি হাঁসদা, চাকু মান্ডিরা অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছেন। টুর্নামেন্টে একডজন গোল রবির। ফাইনালেও একমাত্র গোলটি রবি হাঁসদারই। ক্রীড়ামন্ত্রী, ক্রীড়াসচিব, রাজ্য ফুটবল সংস্থার কর্মকর্তা, আরও সকলের উপস্থিতিতে কোচ সঞ্জয় সেন এবং তাঁর প্রশিক্ষণে চ্যাম্পিয়ন বাংলা টিমকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার এই ফুটবলারদের যদি আরও ভালো ইনস্ট্রুমেন্ট দেওয়া যায়, আরও ভাল খাবার-দাবার দেওয়া যায়, তাহলে ওরা একদিন বিশ্বকাপ খেলারও যোগ্যতা অর্জন করবে বলে আমার বিশ্বাস। কোচ সঞ্জয়বাবুর নেতৃত্বে বাংলার যে ফুটবল দল ভারতসেরা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা সকলেই গর্বিত। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার ফুটবলাররা যেভাবে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামীদিনে আরও ভাল প্রশিক্ষণ পেলে এরা আরও উন্নতি করতে পারবে।” Santosh trophy winning Bengal team meets Mamata Banerjee
বাংলা টিম এবং এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “অরূপকে বলব, যাঁরা বাংলার জন্য এই সম্মান নিয়ে এসেছে। ক্রীড়া বিভাগে ওদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। চাকরিটা কিন্তু এমন হতে হবে, খেলাটাই ওদের প্রধান কাজ। ওদের জন্য স্পেশাল পারমিশন থাকুক। ওরা খেলবে, সঙ্গে চাকরি করবে। এটা শুধু ট্রফি নয়, বাংলার গর্ব, দেশের গর্ব।”