সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
সমুদ্রের নীল জলে নিজের ইচ্ছে মত ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর হাঙর থেকে শুরু করে সুবিশাল তিমি মাছ! আর তার মধ্যে দিয়েই হেঁটে যাচ্ছেন আপনি। আপনাকে দেখে সুস্বাদু খাদ্য মনে করে হাঙর ছুটে এলেও নিশ্চিন্তে হাঙ্গরের সঙ্গে সেলফি নিচ্ছেন আপনি!
না! স্টিফেন স্পিলবার্গের সিনেমার ছবি নয়। এমনটাই হতে চলেছে খাস কলকাতা শহরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এমন অভিনব আন্ডারওয়াটার একোয়া মেরিন পার্ক তৈরি হতে চলেছে কলকাতার বুকে।
যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা যায় আন্ডারওয়াটার টানেল অ্যাকোয়ারিয়াম।
একবার ভিতরে ঢুকলেই দেখতে পাবেন আপনার চারপাশে শুধুই জল। ঘুরে বেড়াচ্ছে রং-বেরঙের মাছ। বেবি শার্ক থেকে গোল্ডফিশ সবই দেখতে পাবেন এখানে। তবে, এই আন্ডারওয়াটার টানেল অ্যাকোয়ারিয়ামের শোস্টপার হল ফ্লাওয়ারহর্ন। এছাড়াও এখানে গেলে দেখতে পাবেন ব্ল্যাক টেট্রা, আরাপাইমা, অক্টোপাস, কুমির, সাপ সবই। বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণীর দেখা মিলবে এখানে। টানেলের মধ্যে হেঁটে গেলে মনে হবে আপনি সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে হাঁটছেন।
রাজু সরকারের উদ্যোগে ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউসিং ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা হিডকো ( HIDCO ) আলিপুরে প্রায় ৪১০ কোটি টাকা দিয়ে ইতিমধ্যেই জমি নিলামে তোলার কথা ঘোষণা করেছে।
সেখানে দর্শকদের দেখার জন্য কলকাতা তথা পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জলাশয় এবং নদী সমুদ্রে যে সমস্ত জলের প্রাণী দেখা যায় সেগুলিকে রাখার জন্য ডোমেস্টিক অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার পাশাপাশি আমাজনের অরণ্য থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগর আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে যে সমস্ত রহস্যময় সামুদ্রিক প্রাণী পাওয়া যায় গ্লোবাল অ্যাকোয়ারিয়াম তৈরির শর্ত রেখেছে।
এই অ্যাকোয়ারিয়ামে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের আদিবাসী প্রজাতির অসংখ্য মাছ, প্রবাল প্রাচীর এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী পাওয়া যাবে। টানেল অ্যাকোয়ারিয়ামে ৩,০০০ এরও বেশি মাছ থাকা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে স্টারফিশ, ক্লাউনফিশ, অ্যাঞ্জেলফিশ, সামুদ্রিক ঘোড়া, র্যাসেস, বক্সফিশ, ঈল এবং আরও অনেক কিছু। এছাড়াও এতে ৫০০টি ভিন্ন ভিন্ন লবণাক্ত এবং মিষ্টি জলের প্রজাতির প্রজাতিও।

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গোটা প্রকল্পটি নির্মাণ করে উদ্বোধনের শর্ত রেখেছে হিডকো।