শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
এবার দেশের সবচেয়ে আধুনিক মেট্রো কোচ তৈরি হতে চলেছে বাংলায়। কলকাতা মেট্রোর রুট সম্প্রসারণে পর এবার এই খবর বাংলার শিল্পক্ষেত্রে ভাল খবর বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও বাংলায় তৈরি হওয়া আধুনিক এই কোচ প্রথম পাবে মহারাষ্ট্রের পুণে।
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শিল্পসংস্থা টিটাগড় ওয়াগন পুণে মেট্রোর জন্য আধুনিক কোচ তৈরির বরাত পেয়েছে। যা তৈরি হবে হুগলির উত্তরপাড়ায়। ইতালিয়ান ও দেশীয় যা যা আধুনিক প্রযুক্তি আছে তার সংমিশ্রণে কোচ তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে। মনে করো হচ্ছে এর কারণে ব্যাপক কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যাবে বাংলার যুবক-যুবতীদের কাছে।
বেশ কিছু দিন আগেই ইতালীয় কয়েকটি কোচ বাংলায় এসেছে। সেগুলো আপাতত পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারপরই সেই সব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অত্যাধুনিক কোচ তৈরি করবে উত্তরপাড়ার কোচ ফ্যাক্টরি। ‘ভোকাল ফর লোকাল’, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের তরফে বলা হচ্ছে, দেশীয় প্রযুক্তি এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যে কোচগুলো আছে, তার তিনটি এসেছে চিন থেকে। এই আবহের মধ্যেই পুণের জন্য তৈরি বাংলার মেট্রো কোচ তৈরির সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
শিল্প কর্তারা মনে করছেন, উত্তরপাড়ার টিটাগড় ওয়াগন ফ্যাক্টরিতে নয়া অত্যাধুনিক কোচ তৈরি হলে বেকার সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে। এখনও অবধি যা খবর, সমস্ত কোচ অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হবে। যা সাধারণ কোচের ওজনের তুলনায় অনেকটাই হালকা তো বটেই পরিবেশবান্ধবও। রেলের তরফে বলা হচ্ছে, এই প্রথম দেশে এ ধরনের অত্যাধুনিক কোচ তৈরি হচ্ছে। আর তাও আবার বাংলায়।
সংস্থা সূত্রে খবর, এই কোচের ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হবে। আর এই কোচগুলিতে জায়গাও অনেকটাই বেশি। আমজনতার জন্য হ্যান্ডেল থাকছে অত্যন্ত কাছের উচ্চতায়। যাত্রী সুরক্ষা এই কোচগুলিতে পুরোমাত্রায় থাকছে। আর দরজায় কিছু আটকে গেলে ট্রেন চলবে না। কামরায় থাকছে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে যাত্রীদের বসার আসন অত্যন্ত আরামদায়ক। নিরাপদে এবং আরামে সফর করতে পারবেন যাত্রীরা। এই কোচগুলিতে হুইল চেয়ার রাখার ব্যবস্থা থাকছে। গোটা কামরা জুড়ে লাগানো থাকবে বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা। তার মাধ্যমে ট্রেনের ভিতরের ছবি সরাসরি দেখতে পাবেন মোটরম্যানরা। পুনে মেট্রোর কোচের বাইরের রং নীল এবং গোলাপি।