সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
“সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের মতোই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা উচিত সমস্ত দেশের।” এভাবেই আরো একবার পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার মাটিতে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অপারেশন সিঁন্দুরের সাফল্য এবং সন্ত্রাস দমনে ভারতের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছে কেন্দ্রের সংসদীয় দল। এই টিমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জাপান থেকে মালয়েশিয়া সর্বত্রই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। কুয়ালালামপুরে সভা থেকে সন্ত্রাসবাদ দমনে দেশের অবস্থান স্পষ্ট করার পর এবার মালয়েশিয়ার পিপলস জাস্টিস পার্টির পার্টি কেদিলান রাকইয়াত (পিকেআর)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অভিষেক সহ সংসদীয় দলের সদস্যরা।
বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের তরফে অভিষেক সব দেশে গিয়েই জঙ্গিবাদ দমনে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বারবার। পিকেআর-এর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগ এবং সমগ্র বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার যৌথ অঙ্গীকার নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝায়ের নেতৃত্বে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার পর বর্তমানে কুয়ালালামপুরে রয়েছেন অভিষেক। সেখানেই তিনি মনে করিয়ে দিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো গোটা বিশ্ব দেখেছে, কীভাবে পাকিস্তানের সেনা কর্তারা সন্ত্রাসবাদীদের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন।
অভিষেকের স্পষ্ট কথা, “গত ২২ এপ্রিল ২৬ জন মানুষকে যেভাবে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন করা হল… একজন বিরোধী সাংসদ হিসেবে আমি চাই, পাকিস্তানের সঙ্গে শুধুমাত্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কথা হোক। নাহলে এই ধরণের জঙ্গি হামলা চলতেই থাকবে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।”

প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আমি এখানে আপনাদের জ্ঞান দিতে আসিনি। ভারত থেকে যারা দূরে থাকেন, তাঁরা আমাদের থেকেও অনেক বেশি জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমী। বিদেশে আপনারা সন্তানদের ভারতীয় সংস্কৃতি ও মাতৃভাষায় শিক্ষিত করে তোলেন। আপনাদের এই সমর্থনের জন্যই আমরা বিশ্বকে জানাতে চাই, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে ভারত একা নয়। আমাদের কৌশলী অংশীদার এবং ভারতীয় সম্প্রদায়ও আমাদের পাশে আছে।”