রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
ধর্ষণের ঘটনা যেন নিত্যদিনের খবরের মত সাধারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবারে এক ভয়ংকর ঘটনা সামনে এসেছে। যা শুনলে গা শিউড়ে উঠবে। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর জেলার এক বাসিন্দাকে যাবজ্জীবনের শাস্তি ঘোষণা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে অভিযুক্তকে দেখা গিয়েছে।
যেখানে তাকে বুলন্দশহর আদালত থেকে বের করে আনা হচ্ছে।
ওই পোস্টের মাধ্যমেই জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তের মা বিধবা। তিনি দাবি করেছিলেন যে, তাঁর স্বামীর মৃত্য়ুর পর ছেলের দাবি ছিল যে তার স্ত্রী হয়ে থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর, আমার ছেলে চেয়েছিল যে আমি তার স্ত্রীর মতো বাঁচি।’ দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে সহবাস করতে বাধ্য করত। পোস্ট অনুসারে, ঘটনাটি ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩ সালের।
পোস্টটি ব্যাপকভাবে নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজেনরা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে। একজন লেখেন, ‘ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। আদালত অভিযুক্ত আবিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া প্রমাণ করে যে বিচার ব্যবস্থা এই গুরুতর অপরাধটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।’ অন্য একজন বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমি মাননীয় বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞ। এ ধরনের লোকদের একমাত্র স্থান জেলখানা।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দোকানে গিয়েছিল কিছু কিনতে ১৩ বছরের দলিত নাবালিকা। সেখানে জলের মধ্যে মাদক মিশিয়ে তাঁকে খেতে দেয় ৩ বর্বর। নেশায় আছন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তারপরই চলন্ত গাড়িতেই শুরু হয় নারকীয় অত্যাচার। জলে মাদক থাকার ফলে অর্ধচেতন অবস্থায় হয়ে পড়ে নাবালিকা। ৩ জন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নাবালিকাকে ফ্লাইওভারের নিচ ফেলে পালিয়ে যায়।
https://x.com/SachinGuptaUP/status/1838201939609157757?t=VNTYtH7ZZyj5OWPKiZWXCQ&s=08
জ্ঞান ফিরলে সে যেভাবে হোক বাড়ি ফেরে। বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে ঘটনার কথা জানায়। তীব্র পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে নাবালিকার বাবা-মা তাঁকে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্সকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানায় যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তত্ক্ষণাত্ নাবালিকার বাবা পুলিসের দ্বারস্থ হয়।