রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
অন্তর্বাস ছাড়াই ভেজা পোশাকে অভিনেত্রী শালিনী পাণ্ডের সাহসী অবতার। নেটপাড়ায় উত্তাপ ছড়াচ্ছেন ‘অর্জুন রেড্ডি’ (Arjun Reddy) খ্যাত নায়িকা।
ছবিতে আপাদমস্তক সালোয়ার কামিজে ঢাকা শালিনীর এমন যৌন উত্তেজনা ছড়ানো ছবি স্বাভাবিকভাবেই নেটবাসীর দু চোখের পাতা এক করতে দিচ্ছে না।
একেবারে ভিন্ন অবতারে ধরা দিয়েছেন শালিনী। নায়িকার হট লুকে ফিদা ভক্তরা।
সিনেমা হিট হোক না হোক, সোশাল মিডিয়ায় বিন্দাস দক্ষিণী অভিনেত্রী শালিনী পাণ্ডে। বর্ষার এই মরশুমে অভিনেত্রীর ছবি দেখে অনুরাগীদের মন্তব্য, “উড়ে যব যব ঝুলফে তেরি…।”
বিনোদন জগতে যৌন হেনস্থার অভিজ্ঞতা জানিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন কিছু দিন আগেই। এ বার শরীরী বিভঙ্গে নেটপাড়ায় উত্তাপ ছড়ালেন অভিনেত্রী শালিনী পাণ্ডে।
মধ্যপ্রদেশের মেয়ে হলেও শালিনীর সাফল্যের সূত্রপাত তেলুগু ও তামিল ছবিতে। যে ছবির রিমেক হিসেবে ‘কবীর সিং’ তৈরি করা হয়েছিল, সেই ‘অর্জুন রেড্ডি’র নায়িকা এই অভিনেত্রী।
‘অর্জুন রেড্ডি’ ছবিতে আপাদমস্তক ঢাকা সালোয়ার কামিজ়ে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। কিন্তু এ বার একেবারে অন্য অবতারে ধরা দিলেন তিনি। শালিনীকে দেখে অবাক তাঁর অনুরাগীরা।
পরনে সাদা রঙের চাপা টি-শার্ট। ফোটোশুটের জন্য সেই টি-শার্ট জলে ভিজিয়েছেন অভিনেত্রী। টি-শার্টের নীচে অন্তর্বাস বলতে কিছুই নেই। টি-শার্টের সঙ্গে নিম্নাঙ্গে সাদা রঙের অন্তর্বাস ও তার উপর সাদা রঙের স্যারং।
এলোমেলো ভেজা চুল ও হালকা প্রসাধন। এমন রূপে আগে কখনও দেখা যায়নি শালিনীকে। চিরকাল পাশের বাড়ির মেয়ে অথবা মিষ্টি মেয়ের চরিত্রেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাই এই সাহসী ফোটোশুট অনুরাগীদের কাছে বড় চমক। এক অনুরাগীর কথায়, “সত্যিই অবাক করার মতো পরিবর্তন!”
এক ‘অস্বস্তিকর’ অভিজ্ঞতা শোনালেন শালিনী পাণ্ডে। দক্ষিণী ছবি ‘অর্জুন রেড্ডি’ থেকে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ‘মহারাজ’ ও ‘ডাব্বা কার্টেল’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কর্মজীবনের শুরুর দিকের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে এনেছেন শালিনী।
চলচ্চিত্র জগতে নানা রকমের পুরুষের মুখোমুখি হয়েছেন অভিনেত্রী। কেউ কেউ অত্যন্ত ভদ্র। আবার ভদ্রতার ধার ধারেন না। কিছু পুরুষের জন্যই নিজের চারদিকে গণ্ডি নাকি টানতে শিখেছেন শালিনী।
দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতে এমনই একজন পরিচালকের কথা জানান অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, এক বার প্রসাধনী ভ্যানে তৈরি হচ্ছিলেন। তিনি যখন পোশাক বদলাচ্ছেন, ঠিক তখনই ছবির পরিচালক ঢুকে পড়েছিলেন ভ্যানে। প্রবেশ করার আগে ভ্যানের দরজায় কড়া পর্যন্ত নাড়েননি!
এমন ঘটনায় চমকে গিয়েছিলেন শালিনী। অভিনেত্রী সাক্ষাৎাকারে বলেছেন, “তিনি ভ্যানে ঢুকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, আমি চিৎকার করতে শুরু করি। আমি থতমত খেয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমার বয়স মাত্র ২২।” পরিচালক বেরিয়ে যাওয়ার পরে কলাকুশলীরা বলেছিলেন, শালিনীর ওই ভাবে চিৎকার করা ঠিক হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
শালিনী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কারও ঘরে ঢোকার আগে কড়া নাড়া নূন্যতম সভ্যতার মধ্যে পড়ে। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি চিৎকার করছিলাম বলে অনেকেরই মনে হয়েছিল আমি খুব রাগী মানুষ।

কিন্তু আমি নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিক্রিয়া দিয়ে ফেলেছিলাম মাত্র।” এই ঘটনার পর থেকে নিজের চারপাশে আরও সচেতন ভাবে গণ্ডি টানতে শিখেছেন অভিনেত্রী।