প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
সাতসকালে ভিক্টোরিয়ার সামনে রুদ্ধশ্বাস অভিযান। জঙ্গির হাতে ‘অপহৃত’ ভিআইপি! উদ্ধারে নেমেছে সেনা। হাত উঁচু করে রয়েছেন ভিআইপি। ভিক্টোরিয়ার ভিতরে আটকে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন ‘ভিআইপি’ ! তাঁদের ঘিরে রেখেছে জঙ্গি। ভিতরে চলছে গুলির লড়াই। বাইরে বন্দুক উঁচিয়ে তাক করে রেখেছে সেনা।
যে কোনও মুহূর্তে বাইরে থেকেও চলতে পারে গুলি। ভিক্টোরিয়ার সামনে এক রুদ্ধশ্বাস লড়াই। নাহ! তাৎক্ষণিকভাবে সবটা দেখে গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতেই পারে। কিন্তু এই দৃশ্য় কেবলমাত্র মহড়া।
কোনও এক ‘ভিআইপি’-কে যদি জঙ্গি অপহরণ করে, তাহলে তাঁকে কীভাবে উদ্ধার করা হবে,তারই মহড়ায় ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে চলছে মক ড্রিল।
মুম্বইয়ের তাজ প্যালেস হোটেল! তাজ হোটেলের বিখ্যাত গম্বুজের পিছনে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। ২৬/১১-র হামলার প্রতীক হিসাবে এই দৃশ্য মনে রেখেছে গোটা দেশ-বিশ্ব। স্মৃতি এখনও ভারতের বুকে জ্বলজ্বলে। ১৪ বছর আগে এই তাজ হোটেলে পাকিস্তানের মদতেপুষ্ট লস্কর জঙ্গিরা তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে তিরিশ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল। মরণাপন্ন লড়াইয়ের পর উদ্ধার করা হয়েছিল অপহৃতদের। ভারতীয় সেনা, ভারতীর নেভির মার্কোস কম্যান্ড, এনএসজি কম্যান্ড উদ্ধারকার্যে নেমেছিলেন। ২৬/১১ থেকে শিক্ষা নিয়ে তারপর থেকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে সেনার তরফ থেকে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। এবার এই মহড়া কলকাতায় হচ্ছে।
মহড়ায় দেখা যাচ্ছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। ভিক্টোরিয়ার একাধিক জায়গায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রেখেছে বোমা-বিস্ফোরক। বেশ কয়েকজন ভিআইপি-কে ভিক্টোরিয়ার ভিতরে আটকে রেখেছে জঙ্গিরা। খবর যায় ভারতীয় সেনা, নৌ-বাহিনী, এনএসজি-র কম্যান্ডর কাছে। সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক জঙ্গিকে নিকেশ করে।
যারা বেঁচেছিল, তাদেরকে ধরে ফেলে। রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস লড়াই। আর তারপর জঙ্গিদের হাত থেকে মুক্ত করা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে। এক রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের মহড়া। নাম দেওয়া হয়েছে সি-ভিজিল।