সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
বছর ঘুরলেই বাংলায় ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কখনো আর জি কর কখনো সন্দেশখালি আবার কখনো বা কসবার ঘটনার জেরে তৃণমূলের জনসমর্থন যে বিন্দুমাত্র কমেনি তার প্রমাণ মিলল আরো একবার।
ফের সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে সবক’টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল রাজ্যের শাসকদল। সদ্য ভোট হয়েছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের পখন্না সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির। ফল বের হতেই দেখা গেল ৯টি আসনেই তৃণমূল প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়।
এরপরই জয়ীদের নিয়ে আবির খেলায় মেতে ওঠেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। তবে এটা জয়ের নামে প্রহসন, বলছে বিরোধীরা।
বিরোধীদের দাবি, কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে শাসকদলের কোনও নেতার ঘরে বসে এই সমবায়ের মনোনয়ন পর্ব সেরে ফেলায় বিরোধীরা মনোনয়নের কোনও সুযোগই পায়নি। এর আগে বাঁকুড়ার জয়পুরের উত্তরবাড় ও তালডাংরা সমবায় সমিতিতেও দেখা গিয়েছিল একই ছবি। এবার বড়জোড়া ব্লকের পখন্না সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনেও সবকটি আসনে জয় পেল তৃণমূল।
এই বিরাট জয়ে স্বভাবতই খুশি স্থানীয় বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। জয়ের পরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তিনিও। অলোক মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জয়ী সদস্য ও তৃণমূল কর্মীরা মিষ্টি খাইয়ে সবুজ আবির উড়িয়ে জয় উদযাপন করেন। অন্যদিকে বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলের এই জয়কে হাস্যকর বলে দাবি করেছেন।
সিপিএম নেতা মনোরঞ্জন দে, বিজেপির বড়জোড়া ৩ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি ধনঞ্জয় গরাইদের দাবি, নির্বাচন ও মনোনয়নের দিনক্ষণ ঘোষণার পর তা নোটিস দিয়ে সমবায়ের সদস্যদের জানানোর নিয়ম। কিন্তু সে সবের ধারপাশ না মাড়িয়ে সকলকে অন্ধকারে রেখে শাসকদল কোনও নেতার ঘরে বসে মনোনয়ন জমা দেয়। পরবর্তীতে তাঁদেরই জয়ী ঘোষণা করা হয়।

বিরোধীদের দাবি পখন্না সমবায়ে ভোট হলে ফলাফল অন্যরকম হত। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।