সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে বিচারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গঠন করা হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। সেই সময় তাঁরা বহু জায়গা থেকে অনুদান পেয়েছেন। দাবি করা হয়েছে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা আছে।
এই আবহে এবার অভিযোগ, বিচারের দাবি তুলে যে টাকা অ্যাকাউন্টে এসেছে, তা নাকি অন্য খাতে খরচ করার পরিকল্পনা করেছে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। আর এই অভিযোগ করেছে ফ্রন্ট বিরোধী সংগঠন জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। নিজেদের দাবির পক্ষে জুনিয়র ডাক্তাদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার তেঁতুলতলায় একটি প্রতিবাদী সভার অডিয়ো সেটি। যদিও সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি কলকাতা সারাদিন এর পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, আরজি কর সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগ এনে বহু ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তবে হাই কোর্ট আবার তাদের সাসপেনশন খারিজ করে দিয়েছে। এই আবহে সেই সব থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধেই নাকি ফের নতুন করে মামলা করা হবে। এবং যে টাকা এতদিনে অনুদান হিসেবে জমা পড়েছিল, তা থেকে নাকি মামলার খরচ চালানো হবে। জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত অডিয়োতে এমনটাই বলতে শোনা যাচ্ছে জনৈক ব্যক্তিকে। দাবি করা হচ্ছে, সেই ব্যক্তি নাকি আরজি কর আন্দোলনের এক নেতা।
এই আবহে জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, আরজি করের ঘটনার আবেগকে কাজে লাগিয়ে কয়েক কোটি টাকা তোলা হয়েছে ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে। এখন এই টাকা ফ্রন্টের চিকিৎসক নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্য়বহার করছেন। এই আবহে অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এই টাকা তুলে দেওয়া হোক খুন হওয়া চিকিৎসকের মা-বাবার হাতে।
এর আগে জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ন শ্রীশ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন, নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেতরা। জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধেও টাকা তোলার অভিযোগ করা হয়েছিল। এই নিয়ে একটি নথি পেশ করে তারা। অন্তত ১০৭ জনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। তাদের মধ্য়ে কেউ ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন, কেউ আবার দুহাজার কিংবা আড়াই হাজার টাকা করে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা তারা সংগ্রহ করেছেন বলে দাবি করা হয়।