শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“বকুল শেখ অন্তত তিন চার বছর জেল খেটেছে, ভোট লুঠ করানোর জন্য ওর জামিন করিয়েছে তৃণমূল।” মালদায় তৃণমূল কর্মী খুন ও শুটআউটের ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখও কুখ্যাত দুষ্কৃতী ছিল বলে দাবি শুভেন্দুর।
মঙ্গলবার নেতাইয়ে শহিদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “মালদায় অনেকদিন কাজ করেছি। গোটা যদুপুর ও কালিয়াচক ১ এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে বন্দুক রয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় গাঁজার চাষ হয়। হেরোইন জালনোট পাচার হয়। বকুল শেখ একটা ডন। অন্তত তিন চার বছর জেল খেটেছে। তৃণমূল জামিন করিয়েছে ভোট লুঠ করার জন্যে। নিজেরাই মারপিট করে মরছে।”
শুভেন্দু বলেন, “পুলিশ বালি তুলতে আর ভোট করাতে ব্যস্ত। বিরোধী দলকে বেরোতে দেয় না। ৭ জানুয়ারি আমাকেও ঢুকতে দেয়নি। তৃণমূলের কর্মসূচি ২টো ৪৫ মিনিটে শেষ হয়েছে অথচ আইসি লিখেছেন ৬টা থেকে রাত ৮টা। আমিও ২ কোটি ৩৩ লক্ষ লোকের প্রতিনিধিত্ব করি। পুলিশের কাজ তৃণমূলকে সন্তুষ্ট করা ও তোলা আদায় করা।” প্রত্যেক থানার ওসি আইসিরা মাসে ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা করে তোলা আদায় করে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর।
প্রসঙ্গত, মালদায় কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত তৃণমূলই। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখকে প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর দিয়ে থেঁতলে গুলি করা হয়। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে হাসা শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি-সহ জখম হন আরও এক তৃণমূল কর্মী। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির শেখের সঙ্গে বিবাদের জেরেই গুলি বলে অভিযোগ। উঠে আসছে কাটমানির বখরা থেকে শুরু করে পদ নিয়ে টানাপোড়েনের অভিযোগও।
এদিন আলুচাষিদের দুর্দশা নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। মমতা ব্যানার্জির ভুল সিদ্ধান্ত আলু চাষিদের শেষ করে দিয়েছে বলে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। পূর্ব বর্ধমান ও হুগলির আলু কলকাতায় যায়। ওড়িশা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত আটকে রেখে আলু চাষিদের সর্বনাশ হয়েছে। কী ক্ষতি করেছে এরা জানে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ নিয়ে তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর। ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট, ১৫ শতাংশ ভাতা ও ছাপ্পা মিলিয়ে ৪৫ শতাংশ ভোট তৃণমূল পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী।