সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় সরকারের কাছে জমে থাকা অসন্তোষের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সাফাইয়ের ঢাল উঠছে। নবান্নের সর্বশেষ নির্দেশিকায় সরকারি কর্মচারীদের কাজে ফাঁকি ও অহেতুক ছুটি নেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্নে প্রশাসন ও পুলিশের ওপর এক বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিতে চলেছেন। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সব দফতরের মন্ত্রী এবং সচিবরা। থাকবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররাও। সেখান থেকেই সমস্ত তথ্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী অনেক প্রশ্নের উত্তরও দেবেন তিনি বলে সূত্রের খবর। এই বৈঠক ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে নবান্নের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে।
জুলাই মাসের প্রশাসনিক বৈঠকের পর অগস্ট মাসেই পর্যালোচনা বৈঠকের কথা ছিল। সেখানে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যা নিয়ে এখনও রাজপথে আন্দোলন চলছে। স্লোগান উঠছে-উই ওয়ান্ট জাস্টিস। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নির্দেশিকাটি শনিবার প্রকাশিত হয়েছে, যাতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে সরকারি কর্মচারীদের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও নাগরিক পরিষেবার কাজ দ্রুত এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে লোকসভা নির্বাচনের কারণে এবং কিছু জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কাজের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। চার মাস ধরে সরকারি কর্মচারীরা কার্যত কোনও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করেননি, যার ফলে সরকারী প্রকল্পগুলির অগ্রগতি থেমে গেছে। এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সকলকে আরও তৎপর এবং সক্রিয় হয়ে কাজ করতে হবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, পরিকাঠামো নির্মাণ, গ্রামীণ আবাস, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজগুলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে।
এছাড়া, সরকারের আর্থিক সুবিধাগুলি প্রান্তিক জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ সরকারি প্রশাসনের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।