সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
দেশের নিয়ম অনুযায়ী, মহিলাদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক। এই নিয়মের আওতায়, ন্যূনতম ৬ মাসের বেতনসহ ছুটি দেওয়া হয়। সম্প্রতি, একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে একটি মহিলা কর্মী মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে অফিসে ফিরে আসার পরেই গর্ভবতী হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন, কিন্তু তার ফলস্বরূপ তাকে চাকরি হারাতে হল।
লন্ডনে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকিতা টুইচেন প্রথম সন্তানের জন্মের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন। ছুটি শেষ করে তিনি যখন অফিসে ফিরে আসেন, তখন আনন্দের সাথে তিনি তার দ্বিতীয় সন্তানের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে, এই খবর কোম্পানির জন্য একেবারেই ভালো প্রমাণিত হয়নি।
নিকিতার অফিসে ফিরে আসার পর কোম্পানি একটি মিটিং করে যেখানে তার কাজের লক্ষ্যমাত্রা এবং অন্যান্য বিষয় আলোচনা হয়। এই সময় নিকিতাকে অভিনন্দন জানানো হয়, কিন্তু অল্প সময় পরেই ম্যানেজিং ডিরেক্টর জার্মানি মরগান নিকিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়, যদিও এর সত্যতা নিয়ে পরে প্রশ্ন ওঠে।
নিকিতা বারবার কোম্পানির পক্ষ থেকে স্পষ্টীকরণের জন্য ইমেল পাঠালেও কোনো উত্তর পাননি। পরে কোম্পানি দাবি করে যে তার কাজের জন্য বিশেষ সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, কিন্তু নিকিতার পক্ষ থেকে বলা হয়, তার স্থানে কোনও সফ্টওয়্যার ইনস্টল হয়নি।
এই ঘটনার পর নিকিতা কর্মী ট্রাইব্যুনালে কোম্পানির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। সমস্ত ইমেল রেকর্ড এবং অন্যান্য নথি জমা দেওয়ার পর, ট্রাইব্যুনাল বোর্ড তদন্ত চালায় এবং কোম্পানিকে নিয়ম ভঙ্গের জন্য ৩১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে নির্দেশ দেয়।
এই ঘটনা মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম ও নীতির প্রয়োগের গুরুত্বকে তুলে ধরে।