সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
ডেস্টিনেশন বেঙ্গল। ডেস্টিনেশন কলকাতা। destination বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাব।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হিসেবে নিজের জায়গা করে নিতে শুরু করেছে বাংলা।
শুধুমাত্র ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তির সংস্থাগুলি নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাও ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে বাংলায় বড় অংকের বিনিয়োগ করতে।
তবে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি তৈরি করার জন্য অন্যতম ডেস্টিনেশন হিসেবে উঠে এসেছে কলকাতা।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাট নিউটাউনে যে বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাব তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন সেখানে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে একের পর এক বড় সংস্থা।
এবার স্লোভাকিয়ার বিখ্যাত ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি ইস্ক্রামেকো তাদের নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার হাব খোলার জন্য বেছে নিয়েছে কলকাতাকে।
Slovenian electrical & electronics manufacturer – Iskraemeco is investing 1000 Cr to develop an integrated hardware & software facility in Bengal Silicon Valley, New Town.
Iskraemeco is one of the largest smart meter manufacturer in India.
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে রাজো সরকারের কাছ থেকে বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাবে যে ৫ একর জমি সংস্থা পেয়েছে তাতে ১১ তলা বহুতল বিল্ডিং বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি ফ্লোরে থাকবে প্রায় ৮৫ হাজার বর্গফুট জায়গা। যার মধ্যে দুটি ফ্লোর হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য ছেড়ে বাকি ৯ টি ফ্লোর ব্যবহৃত হবে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজের জন্য।
জানা গিয়েছে এই হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি হলে প্রত্যেক দিন শুধুমাত্র রাজারহাট নিউটাউনের এই ম্যানুফ্যাকচারিং হাব থেকে তৈরি হবে অন্তত এক হাজার স্মার্ট মিটার।
যেখানে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে অন্তত ৯ হাজার এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে বেশ কয়েক হাজার।
প্রসঙ্গত বাংলাতেও দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত বিদ্যুতের কানেকশন এর জন্য স্মার্ট মিটার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। তাই কলকাতাতেই যদি স্মার্ট মিটার তৈরি হয় তাহলে গ্রাহকদের জন্য অনেক কম খরচ করতে হবে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদকে।