সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
ডেস্টিনেশন বেঙ্গল। destination kolkata। বাংলায় রিয়েলে এস্টেট ক্ষেত্রে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরির পথে রিয়েল এস্টেট সংস্থা মার্লিন গ্রুপ।
গত চার দশকের বেশি সময় ধরে রিয়েল এস্টেট জগতে নেতৃত্বের স্থানে রয়েছে মার্লিন গ্রুপ।
কলকাতার একাধিক বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্ট, অফিস প্লেস সবই তৈরী হয়েছে এই মার্লিনের হাত ধরেই। এরমধ্যে যেগুলি পরিচিত, সেগুলি হল কলকাতার সাউথ সিটি শপিং মল ও অ্যাক্রোপলিস মল।
কলকাতা সহ বাংলা জুড়ে বেশ কয়েকটি রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্লিন গ্রুপ।
সংস্থার পক্ষ থেকে বিপুল অংকের বিনিয়োগ করার পাশাপাশি নিজেদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে ঢেলে সাজানোর পথে দীর্ঘদিন পরে গ্রুপের কর্পোরেট ব্র্যান্ডকে নতুন করে সকলের সামনে তুলে ধরল। প্রকাশিত হল তাদের নতুন লোগো।
এই নতুন লোগোর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে অনেকগুলি বিষয় – মার্লিন একটি দ্রুত বিকাশশীল সংস্থা, পণ্যের গুণমান রক্ষার ব্যাপারে সে কোনও আপস করে না, সে সৃজনশীল, ক্রেতা-সন্তুষ্টিতে সদাই সচেষ্ট এই সংস্থা।
নতুন ব্র্যান্ড আইডেন্টিটির প্রসঙ্গে মার্লিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকেত মোহতা বলেন যে, “ব্যতিক্রমী রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত সমাধান প্রদান এবং আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের জীবন উন্নত করার বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন ঘটবে নতুন এই পরিচয়ের মধ্যে দিয়ে। মার্লিনে প্রতিটি ইট এবং ভিত্তি কিন্তু কাঠামো নির্মাণের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এটা মূলত মূল্যবোধ তৈরি করে, আত্মীয়তার অনুভূতি জাগায় এবং পরিবার তথা সম্প্রদায়গুলির বিকাশে সহায়তা করে। আর এটা এমন স্মৃতি তৈরি করে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলতে থাকে। যেহেতু সারা দেশে তথা সারা বিশ্বে আমরা আমাদের উপস্থিতিকে প্রসারিত করতে পেরেছি, তাই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার ক্ষেত্রে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।”
কলকাতার বুকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার গড়ে উঠছে, তাও তৈরি হচ্ছে মার্লিন গোষ্ঠীর হাত ধরে। এছাড়াও বেহালা এবং উত্তর কলকাতার বিটি রোডে এক্র পলিসের ব্র্যান্ড নেমে তৈরি হচ্ছে দুটি নতুন শপিং মল। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক হেলথ সিটি ও টাউনশিপ।
মার্লিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকেত মোহতা বলছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি শুধু বিল্ডিং তৈরিতে নয়, অন্যান্য দিকগুলিকেও মাথায় রাখতে। আমরা কলকাতার বুকে আরও দুটো শপিং মল তৈরি করছি। এতে একদিকে যেমন কিছু মানুষ কাজ পাবেন, তেমনই সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের বাচ্চাদের সঙ্গে ঘোরারও একটা জায়গা বাড়বে। আমরা বর্তমানে চেষ্টা করছি কলকাতার বাইরে কাজ করার। ওয়ার্ল্ড ট্রেট সেস্টার বানাচ্ছি। সব মিলিয়ে আমাদের ইচ্ছা আমাদের ব্যবসাকে আরও দিকে দিকে ছড়িয়ে দেওয়া।”
মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান, সুশীল মোহতা বলেছেন, “১৯৯০ সালে রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং ধারণাটি একেবারেই নতুন ছিল। সেই সময় মার্লিন গ্রুপই প্রথম ব্র্যান্ডিং করেছিল। ব্র্যান্ডেড রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হিসাবে অগ্রণী ছিলাম আমরা। গত চার দশকে আমরা এই ব্র্যান্ডকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে এসেছি। কারণ আমাদের সংস্থা নির্মাণ এবং গ্রাহকদের সেবায় ধারাবাহিকতা এবং গ্রাহক ও অংশীদারদের সঙ্গে স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলে। নতুন নতুন নকশা তৈরি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও আমরা আমাদের অঙ্গীকার রক্ষা করেছি।”