শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
নানা সময় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। এই নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড় থানাকে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনা হয়েছে। তারপরও যে ভাঙড়ের পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি, সেই ছবি আরও একবার দেখা রবিবার রাতে। জুয়ার ঠেকে হানা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকেই।
ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের। তৃণমূলের দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ভাঙড় থানার শাকশহরে মেলা চলছে। সেই মেলায় জুয়ার আসর বসেছে বলে খবর পায় ভাঙড় থানার পুলিশ। এদিন রাতে মেলায় হানা দেন ভাঙড় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযোগ, জুয়ার ঠেকে পুলিশ পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ জুয়ার আসর বন্ধ করে কয়েকজনকে আটক করে গাড়িতে তুলতেই হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, শাসকদলের কর্মীরা হামলা চালায় পুলিশের উপর। বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। আক্রান্ত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী।
ভাঙড় ১ পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি এম এম শফি আহমেদ ওরফে শুভর অনুগামীদের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। আহত পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের চিকিৎসার জন্য নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনায় দুজন তৃণমূল কর্মীকে আটক করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “আমি কিছুই জানি না এ বিষয়ে, আমি বাইরে ছিলাম। তবে যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে, তাহলে তা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার বিধানসভায় একটা মেলা চলে বলে আমি জানি, কিন্তু এই ঘটনা আমার বিধানসভা এলাকায় নয়।”