রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
কিছুদিন আগে জামদানি শাড়িতে ভিন্ন লুকে হাজির হয়ে চমকে দেন জয়া আহসান। সেসব ছবি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। সেই রেশ কাটার আগেই নতুন লুকে হাজির হয়ে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন ‘গেরিলা’খ্যাত এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন জয়া।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জয়া আহসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শাড়ি পরা বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে কারুকার্যময় ব্লাউজ পরেছেন।
হাতে চুড়ি, গলায় নেকলেস, নাকের নোলকও বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। শাড়ি পরার মর্ডান স্টাইল জয়ার আবেদনময়ী লুকে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
শীতের সকালে চমকে দিলেন জয়া আহসান। নতুন থিমে সাজানো ফটোশুটের ছবি শেয়ার করে অন্তর্জালে ঝড় তুলেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। আজ শুক্রবার সকালে জয়া তাঁর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একগুচ্ছ শৈল্পিক ছবি পোস্ট করেন, যা ঘণ্টা না পেরোতেই ১১ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন কুড়িয়েছে।
রাজা রবি বর্মার শিল্পকর্ম থেকে অনুপ্রেরণা
ছবিগুলোর প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। জয়া জানিয়েছেন, বিখ্যাত চিত্রকর রাজা রবি বর্মার চিত্রকর্মের অনুপ্রেরণায় ফটোশুটটি করেছেন তিনি। ছবিগুলোর মাধ্যমে পুরোনো শিল্পকর্মকে আধুনিক ধাঁচে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। জয়া নিজেই জানিয়েছেন, এটি তাঁর নতুন একটি শৈল্পিক অভিজ্ঞতা।
অন্তর্জালে দারুণ সাড়া
জয়ার শেয়ার করা ছবিগুলো অন্তর্জালে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই পোস্টে ১১ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন এবং অসংখ্য মন্তব্য জমা পড়েছে। অনুরাগীরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মন্তব্যের ঘর। কেউ লিখেছেন, “আপনার মতো শৈল্পিক মানুষ আমাদের গর্ব”, আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “অসাধারণ, এই ফটোশুট যেন শিল্পের নবজাগরণ।”
পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার সাফল্য
এই মুহূর্তে জয়া আহসানের সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে। কয়েক দিন আগেই জানা গেছে, তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রটারড্যাম চলচ্চিত্র উৎসবে। এমন অর্জনে অনুরাগীদের পাশাপাশি দেশের সিনেমাপ্রেমীরাও উচ্ছ্বসিত।
শৈল্পিক ভাবনা ও জয়ার উপস্থিতি
জয়া আহসান বরাবরই ভিন্নধর্মী শৈল্পিক কাজের জন্য পরিচিত। তাঁর এই নতুন ফটোশুটও তা প্রমাণ করে। ছবিগুলোর পোশাক, মেকআপ এবং পোজ সবকিছুতেই আছে একটি শিল্পভাবনা, যা রাজা রবি বর্মার কাজকে সমসাময়িক রূপে তুলে ধরেছে।
জয়ার এমন প্রচেষ্টাগুলো শুধু অনুরাগীদের মুগ্ধই করছে না, বরং শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার প্রমাণও দিচ্ছে। তাঁর প্রতিটি কাজ যেন নতুন এক বার্তা নিয়ে আসে।
কিন্তু নেটিজেনদের বড় একটি অংশ আক্রমণ করে মন্তব্য করেছেন।
শাওন নামে একজন লেখেন, “এগুলো দেখার পর আমার আর ঠান্ডা লাগছে না। ভালোই হইছে শীতের কাপড় আর কিনা লাগবে না।”
হাসিবুল হোসেন লেখেন, “জামদানি শাড়ি-ব্লাউজের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।”
ফারহানা দোলা লেখেন, “ওরে বাপরে! শীত সকালে আগুন। ফায়ার সার্ভিস কই?”
কটাক্ষ করে শামসি লেখেন, “আপনি তো মার্জিত থেকেও অনেক নাম করেছেন জয়া আপু। এখন এই বয়সে এসে এমন করছেন কেন? একটু থামেন এইবার প্লিজ।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।