সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
শেষ পর্যন্ত ভারতে ঢুকেই পড়ল ভয়ঙ্কর HMPV ভাইরাস ! চিনে দাপিয়ে বেড়িয়ে অবশেষে ভারতেও দাপট দেখাতে শুরু করল এই ভাইরাস। জানা গিয়েছে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮ মাসের এক শিশুকন্যা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আট মাসের শিশুকন্যা HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
যদিও এবিষয়ে এখনো সরকারি বিবৃতি মেলেনি। খবর প্রকাশ করা পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেনি বেঙ্গালুরুর স্বাস্থ্য বিভাগ। আশ্চর্যের বিষয়, শিশুটির কোনো ভ্রমণ সংক্রান্ত ইতিহাস নেই বলেই জানা গিয়েছে।
চিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নতুন ভাইরাস। এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে WHO এর কাছে আপডেট চেয়েছে ভারত সরকার। জনসাধারণকে ‘উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ’ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’। চিনে শনাক্ত হওয়া হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আবারও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে চিনে এই ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নয়া এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মানুষের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
করোনা মহামারীর ৫ বছর পর ফের শিরোনামে চিন! HMPV ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবারও সারা বিশ্বের মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আসলে, গত কয়েকদিন ধরে চিনে রীতিমত তান্ডব দেখাচ্ছে HMPV ভাইরাস। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জনগণকে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। চিনে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাসের জেরে উত্তেজনায় গোটা বিশ্ব। আবারও করোনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে মানুষজনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক শনিবার আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে। WHO-কে পরিস্থিতি নিয়ে সময়মত আপডেট শেয়ার করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক চিনে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস) ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কেন্দ্র বলেছে যে ভারতে ইতিমধ্যেই ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা (ILI) এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ (SARI)নিয়ে শক্তিশালী নজরদারি চালাচ্ছে। তবে ব্যাঙ্গালুরুতে আট মাসের শিশুকন্যার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।
এইচএমপিভি অর্থাৎ হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস। হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসের কারণে সাধারণভাবে জ্বর, সর্দি, কাশি, র্যাশ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের সৃষ্টি করে। সাধারণত শীত ও বসন্তে এই ভাইরাসের প্রভাব দেখা যায়।
এই ভাইরাস চিনে এখন ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। আক্রান্ত হয়েছেন লাখ লাখ কোটি মানুষ। হাসপাতালে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। যদিও এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ১৯৫৮ সাল থেকেই পৃথিবীতে লক্ষ্য করা যায় ।
বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস আবিষ্কার করেন। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় নি।