সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
ঝাড়খণ্ডে ফের ক্ষমতা দখল করেছে জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডির জোট। এবার সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করল তারা। রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানালেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। নিজের পদত্যাগপত্রও জমা দেন তিনি। রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গওয়ারের সঙ্গে দেখা করার পর নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের দিন জানিয়ে দিলেন হেমন্ত সোরেন।
গতকাল ঝাড়খণ্ডের বিধানসভার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বিধানসভার ৮১টি আসনের মধ্যে জেএমএম জিতেছে ৩৪টি আসন। কংগ্রেস ১৬টি আসন পেয়েছে। আরজেডি দখল করেছে ৪টি আসন। সিপিআই(এমএল) লিবারেশন পেয়েছে ২টি আসন। সবমিলিয়ে ইন্ডিয়া জোট ৫৬টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ২৪টি আসন। তার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২১টি আসন।
সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন। প্রয়োজনীয় সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। তারপরই এদিন জেএমএম-র কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন হেমন্ত। একইসঙ্গে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানান।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর হেমন্ত সোরেন বলেন, “আজ ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হল। রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছি আমরা। আমার পদত্যাগপত্র তাঁর কাছে জমা দিয়েছি। কংগ্রেস এবং আরজেডি-র নেতারা সঙ্গে ছিলেন। আগামী ২৮ নভেম্বর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।” আগামী বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া জোটের একাধিক শরিক দলের নেতা-নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সুবোধ কান্ত সহায় বলেন, “ঝাড়খণ্ড বিধানসভা হাউসের নেতা হিসেবে হেমন্ত সোরেন-কে সমস্ত পার্টি কর্মী ও নেতা তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছে ২৮ নভেম্বর।”
শনিবার ঝাড়খণ্ডে জয়ের জন্য ইন্ডিয়া জোটকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পাল্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান হেমন্ত সোরেনও।