পুজোর মুখে ফাঁকা বাড়িতে দু:সাহসিক চুরির ঘটনা এবার হাওড়ায়। শিবপুরের অম্বিকা ঘোষাল লেনে শনিবার ওই ঘটনার কথা জানাজানি হয়। চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে আসে।
রবিবার সকালেও পুলিশ সেখানে তদন্তে আসে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ সোনার গয়না, নগদ টাকা-পয়সা, ঠাকুরের কষ্টিপাথরের দুষ্প্রাপ্য মূর্তি, পিতল-কাঁসার বাসনপত্র সহ ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র চুরি হয়।
অনুমান করা হচ্ছে চুরির পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। পরিবারের গৃহকর্তা সস্ত্রীক গিয়েছিলেন চেন্নাইয়ে তাঁর ছেলের বাড়িতে। গত প্রায় ৩ মাস ধরে তাঁরা সেখানেই ছিলেন। মাঝেমধ্যে হাওড়ার বাড়িতে এসে বন্ধ থাকা ঘরদোর দেখভাল করে যেতেন তাঁর মেয়ে-জামাই। রবিবারই চেন্নাই থেকে গৃহকর্তার হাওড়ার বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। তার একদিন আগেই শনিবার ওই চুরির ঘটনা জানাজানি হয়।
এই ঘটনায় কার্যত হতবাক গৃহকর্তার মেয়ে-জামাই সহ প্রতিবেশীরাও। গৃহকর্তার জামাই রাতুল বসু বলেন, রবিবারই শ্বশুর-শাশুড়ি চেন্নাই থেকে আসছেন। সেই কারণে শনিবার ঘর পরিষ্কারের জন্য এখানে আসি। এসে দেখি ঘর তছনছ হয়ে রয়েছে। সোনার গহনা, নগদ টাকা, নতুন জামাকাপড় সব চুরি গিয়েছে। এমনকি ঠাকুরও বাদ যায়নি। সব চুরি গিয়েছে। নবান্নের মাত্র ঢিলছোঁড়া দূরত্বে এমন ঘটনা। আমরা প্রচন্ড নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। নগদ টাকা, গয়না সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরি গিয়েছে। কি করে দুষ্কৃতিরা ঘরে ঢুকেছে তাও বোঝা যাচ্ছে না।
কিছুদিন আগে বাড়িটি নিয়ে প্রোমোটারের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ এটা পরিচিত লোকেদের কাজ। রাতে পুলিশের পেট্রলিং হয়। তারপরেও এই চুরির ঘটনা। বাড়িটি ফাঁকা ছিল। ১ মাস আগে এসে দেখে গিয়েছি বাড়ি ঠিক ছিল। অন্যদিকে, গৃহকর্তার মেয়ে সঞ্চারী বসু বলেন, আমার বাবা-মা দাদার কাছে চেন্নাইতে গিয়েছিলেন। মাঝেমাঝে বাড়িতে এসে আমি এবং আমার স্বামী দেখে যেতাম।
রবিবার মা, বাবা ফিরছেন। সেই কারণে শনিবার বাড়িতে এসেছিলাম পরিষ্কার করতে। এসে দেখি ঘরের ভিতরের সব তালা ভাঙা। যেখানে তালা ভাঙতে পারেনি সেখানে ছিটকিনি উপড়ে দিয়েছে। উপরে গিয়ে দেখি ছিটকিনি উপড়ে দিয়ে ঘর থেকে চুরি করেছে। বৌদির গয়না, মায়ের গয়না, নগদ টাকা যা ঘরে ছিল সব চুরি হয়েছে। নতুন জামাকাপড় নিয়ে গিয়েছে। চোরেরা পাশের বাড়িতেও চুরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি।