সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, এমন একটা সময় ছিল যখন কলকাতা থেকে দীঘা যাওয়ার জন্য কেটে যেত প্রায় সারাটা দিন। আর তার মধ্যে যদি কলকাতা থেকে দীঘা যাতায়াতের রাস্তায় কোন দুর্ঘটনা হতো অথবা রাস্তার কোন অংশ ভেঙে যেত তাহলে দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার লম্বা লাইন পড়ে যেত গাড়ির।
কখনো কখনো কলকাতা থেকে দীঘা যাতায়াতের পথে দুর্ঘটনার জেরে রাতভর রাস্তাতেই কাটাতে হয়েছে বহু পর্যটককে।
কিন্তু ছবিটা বদলে যেতে শুরু করেছিল ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ঠিক আগেই রেলমন্ত্রী হিসেবে কলকাতা থেকে সরাসরি দীঘার ট্রেন চালু করেছিলেন মমতা।
আর মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নিয়ে শুরু করেছিলেন কলকাতা থেকে দিঘার রাস্তা সম্প্রসারণ এর কাজ। বর্তমানে কলকাতা থেকে দীঘা যাতায়াতের রাস্তা চওড়া হতে হতে যে পরিস্থিতিতে রয়েছে ২০১০ সালের আগে তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ ছিল কিনা সন্দেহ!
তবে তা সত্ত্বেও পর্যটকের সংখ্যা এখন দীঘায় এত বেশি পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে যে স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা দিঘার মধ্যে পেরেছে গাড়ির সংখ্যাও।
এবারে তাই পর্যটকদের সুবিধের জন্য রাজ্য সরকার নতুন চারটি বাইপাস তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
Kolkata Fastest Developing City : তিলোত্তমার মুকুটে নতুন পালক, বিশ্বের সেরা ১১ শহরের তালিকায় কলকাতা
কলকাতা থেকে দীঘা যাতায়াতের পথে যে ক’টি এলাকায় বিপুল পরিমাণ যানজট হয়, এই এলাকা গুলিকে চিহ্নিত করে চারটি নতুন বাইপাস তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।
এই চারটি নতুন বাইপাস তৈরি করতে খরচ পড়বে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা।
কালী পূজার পরেই কলকাতা এবং দিঘার মধ্যে প্রস্তাবিত এই ৪ বাইপাসের কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
Government of West Bengal is constructing four bypasses to reduce the travel time between Digha, Purba Medinipur, and Kolkata. Built at an estimated cost of ₹850 crore, the construction of the bypasses will start after Diwali.
দীঘা থেকে নন্দকুমার এর মধ্যে প্রায় ৯০ কিলোমিটার চেয়ে দূরত্ব রয়েছে এই এলাকাকে জোড়ার জন্যই মূলত বাইপাস গুলি তৈরি হবে। হেঁড়িয়া, নিশ্চিন্তপুর কালী মন্দির, কাঁথি এবং আলমপুর ও ফতেপুরের মধ্যে রামনগর রোডকে জুড়বে নতুন বাইপাস গুলি।
রাজ্য পর্যটন দপ্তর সাম্প্রতিকতম এক সমীক্ষায় তুলে ধরেছে বর্তমানে দীঘার সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি আগামী বছর দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হলে পর্যটকের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে কয়েক লক্ষ। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের যাতায়াত সামলানোর জন্য নতুন প্রস্তাবিত বাইপাস গুলির কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
দীঘায় হোটেল, রিসর্ট এবং হোমস্টে উঠে এসেছে এবং সপ্তাহান্তে রুম পাওয়া কঠিন। দীঘায় বিনোদন পার্ক তৈরি হয়েছে এবং একটি কনভেনশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে।
Tourism is the major industry in Digha. With the inauguration of Jagannath Dham Mandir, the tourist flow in Digha is expected to go up. The volume of traffic will go up automatically.
The main purpose of the construction of the bypasses is to reduce the travel time from over 4 hours to under 3 hours.