শুক্রবার গভীর রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি হয় ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে। ফলস্বরূপ সময় যত গড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত নদীগুলির জলস্তর ততোই বেড়েছে। যার ফলে নদী গুলির উপর দিয়ে থাকা কজওয়েগুলি ধীরে ধীরে জলের তলায় যেতে শুরু করে।
রবিবার দুপুরের পর কজওয়েগুলি সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যায়। অতিরিক্ত জলের তোড়ে ভাঙল তারাফেনী নদীর ঢোলভাঙা কজওয়ে। কজওয়ের উপর থাকা ঢালাইয়ের আস্তরণে ভাঙ্গন ধরে এবং জলের তোড়ে সেগুলি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সরে যায়।
ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার হাড়দা হয়ে বাঁকুড়ার রাইপুর বকসী যাতায়াত সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত ও বিচ্ছিন্ন। ঝাড়গ্রাম লাগোয়া বাঁকুড়া সীমান্ত বর্তী এলাকার মানুষকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিপদ এড়াতে নদীর দুই প্রান্তেই মোতায়ন করা রয়েছে পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার ।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চার চাকা সহ মালবাহী গাড়িগুলির যাতায়াত। যার ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন।