শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
কে বসবেন হোয়াইট হাউসের মসনদে? তা জানতে উদগ্রীব বিশ্ব। কাটাছেঁড়ায় ব্যস্ত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সমীক্ষা রিপোর্টেও উঠে আসছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত। অথচ ভোটদানের আগেই পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম জানিয়ে দিল থাইল্যান্ডের শিশু জলহস্তি। কমলা হ্যারিস না ডোনাল্ড ট্রাম্প, কাকে জয়ী ঘোষণা করল সে?
মু ডেং। থাইল্যান্ডের এই বাচ্চা পিগমি জলহস্তির ভবিষ্যদ্বাণী ঘিরে দুনিয়া জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই বিজেতার নাম জানিয়ে দিল সে। ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেওয়া মু ডেং-এর ভবিষ্যদ্বাণী।
কী ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেছে নিল সে?
একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মু ডেং-কে দু’টি তরমুজ দেওয়া হয়েছে। দু’টির মধ্যে ছিল দুই প্রার্থীর নাম। গুটি গুটি পায়ে তরমুজের ঝুড়ির দিকে এগিয়ে গেল এই বাচ্চা জলহস্তি। তারপর একটি তরমুজ বেছে খেল। তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করল প্রিয় ফল। থাইল্যান্ডের সি রচা এলাকার খাও খিয়ো চিড়িয়াখানায় ঘটেছে এই কাণ্ড। জানেন কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম লেখা তরমুজগুলির মধ্যে কোনটি বেছে নিয়েছে মু ডেং?
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মু ডেং যে তরমুজটি বেছে নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। অর্থাৎ থাইল্যান্ডের এই বাচ্চা জলহস্তির ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কে এই মু ডেং?
চলতি বছরের জুলাই মাসেই জন্মেছে মু ডেং। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই সে সেলেব্রিটির তকমা পেয়ে গিয়েছে। নানাবিধ মজাদার খেলা করে সে ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে উঠেছে। ছোট্ট এই জলহস্তি টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামে মাঝে মধ্যেই মুখ দেখায়। তার ভিডিয়োতে লাইক, কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। সম্প্রতি মাইকেল জ্যাকশনের মুনওয়াক করে মু ডেং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
থাই ভাযায় মু ডেং কথার অর্থ ‘বাউন্সি পর্ক’। পিগমি জলহস্তি বর্তমানে লুপ্তপ্রায়। ফলে এই মু ডেং তাদেরই প্রতিনিধি। তার এই জনপ্রিয়তা থাইল্যান্ডের চিড়িয়াখানার আয় দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সুইং স্টেটের সবক’টিতেই বিপুল সমর্থন পেতে চলেছেন। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৪৯ শতাংশই ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই আবার হোয়াইট হাউসের মসনদে দেখতে চাইছেন। রিবাপলিক প্রার্থী ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে ১.৮ শতাংশ ভোট বেশি পেতে পারেন বলেই সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে। জনপ্রিয় অর্থনীতিবিদ খ্রিস্টোফ বেরুড, যার সমস্ত আন্দাজ হুবহু মিলে যায়, তিনিও দাবি করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পই জয়ী হবেন।