শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“ক্ষমার অযোগ্য অপরাধটা আড়াল করতে, জাতীয় সম্পদ- চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করেছে। আমরা সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে এই মিছিল করছি।” মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে এভাবেই মমতাকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বলেন, “জালিয়াতি, কর্তব্যে অবহেলা এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধকে আড়াল করার জন্য, গোটা রাজ্যে হাজার হাজার মানুষকেই স্যালাইন দিয়েছে। এনআরএস – দিয়েছে কয়েকদিন আগে। গতকাল নদিয়ায় ধরা পড়েছে। কত মানুষের যে ক্ষতি করেছেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্যালাইন দিয়ে ! এবং এই স্যালাইন কোম্পানি তৃণমূলের। এই স্যালাইন কোম্পানির থেকে তৃণমূল টাকা নিয়েছে। চোপড়াতে কারখানা। চোপড়ার এমএলএ এবং বিডিও প্রতিমাসে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়। মুকুল ঘোষ অন্যতম ডিরেক্টরের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক আছে।”
এদিন প্রসূতি মৃত্যুর প্রতিবাদে মেদিনীপুরে মিছিলে নামলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরে গিয়ে তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন। স্যালাইনকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সন্তান প্রসবের পরই, মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়েন এক প্রসূতি।পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্য়ালের তৈরি রিঙ্গার ল্য়াকটেট ব্য়বহারের ফলেই এই পরিণতি বলে ওঠে অভিযোগ।
এই প্রেক্ষাপটে আবার রোগীর পরিবারের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু, এতগুলো মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলল কারা? কারা এই ঘটনার জন্য় দায়ী? এই প্রশ্ন যখন উঠছে, ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলনে সম্প্রতি গাফিলতির কথা মেনে নিয়েছিলেন মুখ্য়সচিবও। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসকদের প্রসঙ্গ। আর ঠিক এই পয়েন্টেই ময়দানে নেমে পড়েছিলেন শুভেন্দু। মুখ্যসচিবের কথার চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন তিনি।