ব্রেকিং
  • Home /
  • ক্রাইম /
  • RG Kar Verdict Today : আরজিকরের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ৫ মাস ৯ দিন পর আজ রায় আদালতের

RG Kar Verdict Today : আরজিকরের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ৫ মাস ৯ দিন পর আজ রায় আদালতের

সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস এবং জাস্টিস ফর আরজিকর – এই দুই শ্লোগানে কেঁপে উঠেছিল বাংলা থেকে শুরু করে গোটা ভারতবর্ষ। কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার চাঞ্চল্যকর মামলার রায় দান হবে আজ....

RG Kar Verdict Today : আরজিকরের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ৫ মাস ৯ দিন পর আজ রায় আদালতের

  • Home /
  • ক্রাইম /
  • RG Kar Verdict Today : আরজিকরের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ৫ মাস ৯ দিন পর আজ রায় আদালতের

সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস এবং জাস্টিস ফর আরজিকর – এই দুই শ্লোগানে কেঁপে....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।

উই ওয়ান্ট জাস্টিস এবং জাস্টিস ফর আরজিকর – এই দুই শ্লোগানে কেঁপে উঠেছিল বাংলা থেকে শুরু করে গোটা ভারতবর্ষ। কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার চাঞ্চল্যকর মামলার রায় দান হবে আজ শনিবার। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর প্রায় ২ মাস আর সেই নৃশংস ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। মামলার ফাইনাল সাবমিশনে সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার আর্জি জানায় সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত সঞ্জয়কে ফাঁসি দেয় কি না, সেদিকে নজর সবার। জানা গিয়েছে, দুপুর নাগাদ এই মামলার রায় ঘোষণা করা হতে পারে।

এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। শীর্ষ আদালতে নিজেদের আবেদনে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। সিবিআই নিশ্চিত যে আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ই একমাত্র দোষী। এই আবহে ধৃতের ‘ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট’ বা মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় শিয়ালদা আদালতে মোট ৫১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। এর আগে কলকাতা পুলিশের পথে হেঁটেই সিবিআই দাবি করে সঞ্জয় রাই এই মামলায় একমাত্র দোষী। এর আগে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয়কে ধরেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে। তদন্ত করে সিবিআই সঞ্জয় রায়ের নামে চার্জশিট পেশ করে। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার চার্জ গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১১ নভেম্বর। এই আবহে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর প্রায় ২ মাস আর সেই নৃশংস ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

 

এদিকে সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার মা-বাবা জানিয়েছেন, এই ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে প্রমাণ লোপাট হয়েছে। এবং এই ঘটনায় একা সঞ্জয় রাই দোষী বলে তারা বিশ্বাস করেন না। এই আবহে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে যাতে সিবিআই যথাযথ তদন্ত করে, সেই দাবিতেই শীর্ষ আদালতে মামলা করেছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। বুধবার তাঁদের হয়ে এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেন আইনজীবী করুণী নন্দী। দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে এই মামলার আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে আরজি কর কাণ্ডের যে তদন্ত সিবিআই করছে, তার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক নির্যাতিতার মা-বাবার অভিযোগের বিষয়টি।

 

উল্লেখ্য, এর আগে সিবিআই তদন্তের তত্ত্বাবধানের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থাঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই সময় বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে এই তদন্ত হচ্ছে এবং হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি বিচারাধীন, তাই সিঙ্গল বেঞ্চের তরফ থেকে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। তবে সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি যদি অনুমোদন দেন কিংবা তদন্ত প্রক্রিয়ার নজরদারি সংক্রান্ত ব্যাখ্যা দেন, তাহলে তিনি এই মামলায় তত্ত্বাবধান করতে পারেন। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের আবেদন, উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানিতে পদ্ধতিগত বাধা যেন দূর করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই সবের মাঝেই এবার শনিবার শিয়ালদা আদালতে রায় দেওয়া হবে আরজি কর মামলায়।

অন্যদিকে, তিলোত্তমা খুন-ধর্ষণ মামলায় রায় ঘোষণার আগের দিন ফের বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা-মা। সিবিআই ও রাজ্য সরকারকে একযোগে নিশানা। ‘রাজ্য চায়নি বলেই মেয়েটা বিচার পায়নি’, দাবি তিলোত্তমার মা-বাবার। তিলোত্তমার বাবা তো স্পষ্ট বললেন, ‘সিবিআই কোনও কাজই করেনি। সিএফএসএল বলছে ঘটনা সেমিনার রুমে ঘটেনি। সিবিআই ধৃত সিভিক একাই দোষী বলে দেখাচ্ছে। সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। যদিও তারা কতটা সফল হবে সেটা আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে।”

 

তিলোত্তমার মা আবার বলছেন এক ‘অদৃশ্য আদেশের’ কথা। তাঁর কথায়, “আমার মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে দেখতে পাবেন একটা অদৃশ্য আদেশ কাজ করছে নেপথ্যে। এটা আমাদের মনে হচ্ছে।” বাবা বলছেন, “একটা অদৃশ্য হাত কাজ করছে। কিন্তু সে হাত কার? এখানেই রীতিমতো ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গেল তাঁদের। ইঙ্গিত একেবারে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের দিকে। তাঁদের দাবি, সম্ভবত সেই অদৃশ্য হাতের অদৃশ্য নির্দেশেই সব তথ্য-প্রমাণ লোপাট হয়েছে। সে কারণেই চালান ছাড়াই রাতে ময়নাতদন্ত হয়েছে।

তিলোত্তমার মা বলছেন, “উপর থেকে নির্দেশ ছাড়া তো আমরা আমাদের মেয়ের মুখটুকুও দেখতে পাইনি। সিপি আমাদের অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখেছিলেন। উপরের নির্দেশ আসার পর আমাদের দেখতে দেওয়া দেওয়া হয়েছিল। বাবার সাফ কথা, “রাজ্য চায়নি তাই বিচার পায়নি মেয়েটা।”

এরইমধ্যে আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, “সব সময় তাড়াতাড়ি বিচারে ন্যায় বিচার হয় না। এটা কোনও সাধারণ খুন বা ধর্ষণের ঘটনা নয়। সে ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা মানে আসলে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা।”

আজকের খবর