সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
খাস কলকাতায় ফের দম্পতির রহস্য মৃত্যু! এক বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যুর খবরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব যাদবপুর থানার মুকুন্দপুর এলাকায়। পুলিশ সুত্রে খবর, বাবা-মাকে ফোনে না পাওয়ায় আত্মঘাতী ওই দম্পতির মেয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে পাঠান বাবা-মায়ের খোঁজ নিতে। জানা গিয়েছে, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিলো।
বহু ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া না মেলায় পুলিশকে খবর দিতেই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে পূর্ব যাদবপুর থানার মুকুন্দপুর এলাকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই দম্পতির নাম দুলাল পাল (৬৫)। তাঁর স্ত্রী রেখা পাল (৫৮)। এদিন সকালে তাঁদের পূর্ব যাদবপুর থানার মুকুন্দপুর এলাকার বাড়ি থেকে আলাদা আলাদা ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ওই দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ফেরার ওই বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে-বউমা। ফলে এটি নিছকই আত্মহত্যা নাকি খুন! এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য কিনা তা জানতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে তাঁদের মুকুন্দপুরের বাড়ির ডাইনিং রুম থেকে উদ্ধার হয় দুলাল পালের ঝুলন্ত দেহ। অন্যদিকে স্ত্রী রেখার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বেডরুম থেকে। তাঁদের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে বাবা-মায়ের রহস্য মৃত্যুতে ভাই ও ভাইয়ের বউকে কাঠগড়ায় তুলেছে পুলিশ।
মৃত দম্পতির মেয়ের অভিযোগ তার বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার করত ভাই ও ভাইয়ের বউ। তার ভাই পেশায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এবং বউদি কল্যাণী মণ্ডল একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক।
অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মঙ্গলবার রাতেও ঘর থেকে ওই বৃদ্ধ দম্পতিদের চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়েছেন তাঁরা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাঁরা কী আত্মহত্যা করলেন? নাকি তাঁদের মেরে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে ছেলে-বউ। আর সুইসাইড নোটই বা কে লিখল! ঘটনায় পরতে পরতে ঘনাচ্ছে রহস্য। আপাতত দেহদুটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত দম্পতির ছেলে-বউকে খুঁজতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।