রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
বিয়ে বিতর্কে অবশেষে ইস্তফা ম্যাকাউটের অধ্যাপিকা পায়েল বন্দোপাধ্যায়ের। কলেজের ক্লাসরুমে ছাত্রের সঙ্গে অধ্যাপিকার বিয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
এরপরই কর্তৃপক্ষ ওই অধ্যাপিকাকে ছুটিতে পাঠায়। যদিও ভিডিও’র প্রেক্ষিপ্তে অধ্যাপিকা পায়েল বন্দোপাধ্যায় যুক্তি দিয়েছিলেন ওটা ‘ড্রামা’-র দৃশ্য ছিল!
ক্লাসেই ছাত্রের সঙ্গে ‘বিয়ের’ অভিযোগ উড়িয়ে দেন অধ্যাপিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল যে এক অধ্যাপিকাকে ‘সিঁদুর’ পরিয়ে দিচ্ছেন এক ‘ছাত্র’। তা নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়। এরপর ফেসবুকের নিজের প্রোফাইল থেকে একটি ভিডিও করে কারণ জানান অধ্যাপিকা। যদিও গোটা ঘটনা নাটক, অধ্যাপিকার এমন তত্ত্বকে মানেনি ম্যাকাউট কর্তৃপক্ষ। নাটকের তত্ত্ব খারিজ হতেই পদত্যাগ করেন অধ্যাপিকা পায়েল বন্দোপাধ্যায়।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-য় ক্লাসরুমের মধ্যেই অধ্যাপিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেখা যায় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে। নদিয়ার হরিণঘাটা রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ম্যাকআউট’-এর ক্যাম্পাসের সেই ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। প্রবল সমালোচনা হয়েছে ওই ভিডিও-কে নিয়ে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সেই অধ্যাপিকা। রাখঢাক না রেখেই এবার সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছিলেন পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলেছেন সেই অধ্যাপিকা?
“এটা আমার কাছে খুব আশ্চর্য্যের ব্যাপার। একাটা ড্রামা এভাবে ভাইরাল হয়ে গেছে। এটা একটা নাটকের অংশ ছিল। আরও নাচ-গানের ভিডিও আছে। অন্যান্য ফাকাল্টিরাও সেখানে অংশ নেন। তবে সেই নাচ-গানের ভিডিও ভাইরাল না হয়ে একটা সাইকো ড্রামা থেকে কিছু-কিছু ক্লিপস তুলে ধরে সেগুলোকে ভাইরাল করা হল। এটাই আমার জন্য আশ্চর্যের। এটা কারা করেছে, কী উদ্দেশ্য নিয়ে করেছে, সে ব্যাপারে কিছু বলতে চাইছি না। কর্তৃপক্ষই সত্যিটা বের করবে। ভিডিওগুলো ভাইরাল হওয়ার পিছনে আমার মানহানি হচ্ছে। ছাত্রদের স্বার্থও ভাবা হচ্ছে না। সবসময় ছাত্রছাত্রীদের মোটিভেট করি। যে এই ভিডিওগুলো ভাইরাল করল সে ভাবছে না ছাত্রদের কী হবে! আমি হাতজেডা় করে অনুরোধ করছি, এটাকে নিয়ে আর এগোবেন না। এগুলো একেবারেই ভুয়ো ও ভিত্তিহীন।”
রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাকআউট-এর হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। গোটা সিঁদুরদান পর্বের সাক্ষী রয়েছেন সেই ক্লাসেরই অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই সিঁদুর দান পর্ব মোবাইল বন্দি করতেও দেখা গিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়। অবশেষে ‘বিয়ে’ বিতর্কে ইস্তফা দিলেন ম্যাকাউটের অধ্যাপিকা। ম্যাকাউটের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অধ্যাপিকার ‘নাটক’ তত্ত্ব খারিজ হতেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত।